আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে নূরুল আমিন নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম এই রায় দেন। তবে আসামী নুরুল আমিন পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করা হয়।
যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্ত আসামী নূরুল আমিন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের জনৈকা কিশোরীকে (১৩) অপহরণ করে ধর্ষণ করে নূরুল আমিন (২২) নামের এক যুবক। পরে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়। এক পর্যায়ে নূরুল আমিন একই সালের ২৮ অক্টোবর ওই কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে, অপহরণের ঘটনার পর দিন ৮ এপ্রিল কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে নূরুল আমিনসহ তার সহযোগী আব্দুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন,রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০। তাং ০৮/০৪/২০১২। এদিকে, কলারোয়া থানার তৎকালিন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগষ্ট সাতক্ষীরা আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি সম্পুরক চার্জশিট প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশীট ও ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৭ ধারায় আসামী নূরুল আমিনকে ১০ বছর ও একই আইনের ৯/২ ধারায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ১০ হাজার টাকা অর্থদ- দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।