কলকাতার সিনে ফেডারেশন ও এসকে মুভিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়াকার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এফসিটিডাব্লিউইআই)-কে এসকে মুভিজের পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে নায়েক নায়েক অ্যান্ড কম্পানি।
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন হাউজটির অভিযোগ, ব্রিটেনে জয়দীপ মুখার্জির ‘চালবাজ’ ছবির শুটিং করার কথা ছিল। ফেডারেশনের খামখেয়ালি মনোভাবের জন্য সেই শুটিং শুরু করা যায়নি। এখনও ব্রিটেনে রয়েছেন কলাকুশীলবরা। তবে ফেডারেশনের অনুমতি না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
কলকাতার অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও শাকিব খানও লন্ডনে রয়েছেন। কিন্তু, শুটিংয়ের অনুমতি দিচ্ছে না এফসিটিডাব্লিউইআই প্রেসিডেন্ট স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি নাকি জানিয়ে দিয়েছেন, ১৯ জন টেকনিশিয়ানকে লন্ডনে না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত শুটিং করতে পারবে না প্রযোজক সংস্থা।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিদেশে শুটিং করার জন্য এফসিটিডাব্লিউইআই-র সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়শনের। সেই চুক্তি মেনে কাজ করতে হতো প্রযোজক সংস্থাগুলিকে। ৩০ এপ্রিল সেই চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে। ফলে সেই গাইডলাইন মানতে আর বাধ্য নয় প্রযোজকরা। তা সত্ত্বেও ১৫ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্রিটেনে শুটিংয়ের বিষয়ে জানানো হয়েছিল ফেডারেশনকে। নোটিশে আরও উল্লেখ, গত ১৭ জুন প্রযোজকসংস্থাকে একটি ই-মেল বার্তা পাঠায় এফসিটিডাব্লিউইআই। সেখানে বলা হয়, যেহেতু চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে তাই শুটিংয়ের অনুমতি ফেডারেশন দেবে না।
এদিকে ছবির শুটিং আটকে থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রযোজক সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে অশোক ধানুকা সেখান থেকে জানিয়েছেন, প্রযোজক সংস্থা বিদেশে শুটিং করতে গেলে এফসিটিডাব্লিউইআই-এর চুক্তি মানতে বাধ্য নয়। তারপরও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিদেশে কাজ না করে বসে থাকতে হচ্ছে কলাকুশীলব ও টেকনিশিয়ানদের। আগে থেকে বলা হয়েছিল ফেডারেশনকে। তারপরও ফেডারেশনের তরফ থেকে সাহায্য করা হল না। এমনিতে বাংলা ছবির প্রযোজকসংস্থাগুলির অবস্থা খারাপ। তার ওপর এমন চলতে থাকলে প্রযোজকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। .
কিন্তু, কেন প্রযোজকসংস্থার সঙ্গে এমন করছে ফেডারেশন? অশোক ধানুকার অভিযোগ, স্বরূপ বিশ্বাস প্রযোজকদের সঙ্গে এরকমই করেন। এর আগেও করেছেন একাধিক প্রযোজকের সঙ্গে। তবে সেই প্রযোজকরা ক্ষমতাশালী। তাই উতরে গেছেন। ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অশোকবাবু। এভাবে চলতে থাকলে কলাকুশীলব ও টেকনিশিয়ানদের ফেরত নিয়ে আসা ছাড়া উপায় নেই, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সূত্র: কালেরকন্ঠ