মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : আর মাত্র একদিন। এরপরই ঈদের খুশিতে মেতে উঠবে সকলে। এর মধ্যেই প্রায় শেষ হয়ে এসেছে ঈদের সকল কেনাকাটা। শেষ মুহুর্তে এখন অনেকে ছুটছেন টুপি আর সুগন্ধি আতরের খোঁজে। তাই ভীড় বেড়েছে টুপি ও আতরের দোকানে। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী টুপি-আতরের দোকান। তবে শহরের থানা মসজিদ সড়কের পুথিঘর লাইব্রেরি, মাদ্রাসা লাইব্রেরি, ছালেহিয়া লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন ফুটপাতেও আছে টুপি, জায়নামাজ ও আতরের কেনাবেচা চলছে। টুপি ও আতরের বেচাকেনা সারা বছর তেমন বেশি না হলেও ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরেই চলছে সবচেয়ে বেশি। এমনটাই জানালেন দোকানিরা। শুক্রবার ছুটির দিনে থানা মসজিদ সড়কের পুথিঘর লাইব্রেরিতে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। এখানে রয়েছে নতুন ডিজাইনের টুপি। যেমন, বুগিস, তুর্কি, ভেলভেট, কুশিকাটা, ঝুঁটি, গুজরাটি, চায়নিজ টুপি, আলআজিম, আল কাদির , জিন্নাই, রুমি, চুমকি হাজী নামের বাহারি টুপির সমাহার। ক্রেতারা জানান, পুথিঘরে আমাদের পছন্দ এবং চাহিদা মতো সকল প্রকার জিনিস পাই বলে এখানে আসি। প্রতি বছর পরিবারের সকলের জন্য এখান থেকে টুপি, আতর, জায়নামাজ ও তসবি ক্রয় করি। পুথি ঘর এর সত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. মহিদুর রহমান জানান, দেশীয় বিভিন্ন প্র্রতিষ্ঠানের তৈরি টুপির চাহিদা থাকলেও তুর্কি টুপির চাহিদা একটু বেশি। দোকানে ঈদ আকর্ষণ বুগিস টুপির চাহিদা বেশি। ডিজাইনভেদে ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ শ টাকা পর্যন্ত দামের টুপি আমাদের কাছে আছে। তিনি আরো জানান, ভারত, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ফ্রান্স থেকে আসে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতর। ঈদে আতরের আমদানিও বাড়ে কয়েকগুণ। বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে আল-হারামাইন, আল-রিহ্যাব, আল-নাঈম, তায়েবা, অটরি, সুইস অ্যারাবিয়ান আতর।
ঈদের কেনা-কাটা ; শেষ মূহুর্তে টুপি ও আতরের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
পূর্ববর্তী পোস্ট