আসাদুজ্জামান ঃ ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজনপল্লীতে চার শতাধিক বছর ধরে বসবাসকারী হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষজনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে মার্কেট তৈরির নামে তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা ও দেশব্যাপি সংখ্যালঘুদের জমি দখল, জুলুম এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
সংগঠনটির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও সাবেক সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, রঘুনাথ খাঁ, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, জাসদ নেতা, প্রফেসার ইদ্রিস আলী, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সুধাংশু শেখর সরকার, সিপিবির সভাপতি আবুল হোসেন, ডাঃ প্রশান্ত কুÐু, হরিজন পল্লীর সভাপতি বাবুলাল হেলা, সদস্য চন্দন হেলা, গোপাল মÐল, ডাঃ মিলন ঘোষ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন এদেশ স্বাধীনে অংশ নিয়েছে। অথচ যুগ যুগ ধরে এদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নিজের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এটি একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজনদের উৎখাত করে সেখানে মার্কেট বানিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে চান একটি মহল। পূর্ণবাসন ছাড়া মিরনজিল্লার হরিজনদের উচ্ছেদ করা যাবে না মর্মে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরশেনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ালের নেতৃত্বে গত বৃহষ্পতিবার আবারো হামলা চালিয়ে তাদের বসতবাড়ি ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। বাধা দেওয়ায় কমপক্ষে ৩০ জন হরিজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বক্তারা এসময় হরিজনপল্লীতে বসবাসকারী মানুষজনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে মার্কেট তৈরির নামে তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টাসহ দেশব্যাপি সংখ্যালঘুদের জমি দখল, জুলুম ও নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন এসবের প্রতিবাদ জানান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল।##