বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলায় অফ সিজনে তরমুজ চাষ করে কৃষক মেহদী হাসান সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। স্বল্প খরচ করে স্বল্প সময়ে অফ সিজন তরমুজ চাষ করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করায় এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুকতে শুরু করেছে।
আশাশুনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এলাকায় অসময়ে অধিক ফলন সম্ভব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছিলেন। কৃষি বিভাগ এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে এই প্রথম বারের মত উচ্চ মূল্য ফসল প্রদর্শণী (অফ সিজন তরমুজ) চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এই তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।
কৃষি কর্মকর্তা ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনুধাবন করতে পেরে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে কুল্যার কৃষক মেহদী হাসান ৫০ শতক জমিতে এই ব্লাক জায়েন্ট জাতের তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষাবাদে তার সর্ব সাকুল্যে খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ্ব ও সহযোগিতা নিয়ে কৃ্ষক মেহদী হাসান কাজে নিয়োজিত থেকে চাষাবাদ করেন। এবং আশাপ্রদ ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছেন।
কৃষক মেহদী হাসান জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ্ব নিয়ে অসময়ে তরমুজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার আশায় বুক বেধে কাজ করেছি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে তরমুজ উঠাতে পেরে লাভের মুখ দেখতে পেয়ে দম ছেড়ে শান্তি পেয়েছি। প্রথম চালানে আমি ক্ষেত থেকে ১২ শ’ কেজি তরমুজ উঠাই। প্রত্যেকটি তরমুজ ৫/৭ কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ৪০ টাকা কেজি দরে ক্ষেত থেকে পাইকারী হিসেবে তরমুজ বিক্রয় করে ৪৮ হাজার টাকা পেয়েছি। এতে আমার খরচ উঠে ২৩ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। ক্ষেতে এখনও যে ফল আছে তা বিক্রয় করে অন্ততঃ আরও ৫০/৬০ হাজার টাকা পাব ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তা স্যারেরা নিয়মিত খোঁজ কবর নিয়ে থাকেন। তাদের পরামর্শ্বে রোগ বালাই দমন করে ভালভাবে চাষ করতে পেরে আমি লাভবান হতে পেরেছি। অসময়ে বড়বড় তরমুজ, দেখতে সুন্দর ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তরমুজের চাহিদা অনেক বেশী।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে এবছর আশাশুনিতে এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মত উচ্চ মূল্য ফসল প্রদর্শণী (অফ সিজন তরমুজ) চাষের উদ্যোগ গ্রহন করি। এবছর প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে অফ সিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। মাঠ থেকে পাইকারী ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে। প্রথম চাষের কারণে খরচ একটু বেশী হয়ে থাকে। সে তুলনায় কৃষকরা তরমুজ বিক্রয় করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে খরচ কমে আসবে। তখন লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে।