নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জামিয়া ইসলামিয়া রশিদীয়া হুসাইনাবাদ মাদ্রাসা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা এবং মাদ্রাসার দুই শিক্ষক মাওলানা মিজানুর রহমান ও মাওলানা আবু নাইম এর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর আয়োজনে ২৪ ফেব্রæয়ারি সোমবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া রশিদীয়া হুসাইনাবাদ মাদ্রাসা’র সভাপতি এ্যাড: রফিকুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন জামিয়া ইসলামিয়া রশিদীয়া হুসাইনাবাদ মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মো: রোকনুজ্জামান, হাফেজ মাওলানা হাফেজ মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ মাহাদি হাসান, মোঃ আব্দুল্লাহ।
শিক্ষক মাওলানা রোকনুজ্জামান বলেন, ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান ২০০৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। ওই পরিচালনার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন যাবত তার পিছনে শত্রুতা বসত তার বড় ভাই মাওলানা আব্দুস সবুর, তার ভাতিজা আব্দুল কাইয়ুম অন্যান্য ভাতিজারা মিলে মাদ্রাসা দখল করার জন্য পায়তারা করছে। এর প্রেক্ষিতে তারা শরীয়তের মানদÐে ওলীগণের হালাত নামক একটি বই বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে তারা বিভিন্ন প্রগান্ডা ছড়াচ্ছে। মূলত এই কিতাবটি ছিল মাওলানা মিজানুর রহমানের বড় ভাই এর ১৬ টি প্রশ্ন। সে সময় তিনি বলেছিলেন তুমি যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারো বলেছিল তুমি সঠিক। আর যদি না পারো তাহলে তুমি গোমরা।
তিনি আরো বলেন গত কয়েকদিন পূর্বে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার খাদ্য লুট করে নিয়ে গেছে যার ফলে ছাত্ররা অনাহারে আছে। মাওলানা মিজানুর রহমান একজন ধর্মভীরু মুসলমান। উনি কারো কাছ থেকে কোন হাদিয়া নেন না। যদিও নেন সেটি হালাল হবে কিনা বিবেচনা করেই নেন। আমাদের হুজুরকে মিথ্যা মামলায় আটক করেছে। সম্পতি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই মাওলানা মিজানুর রহমানের অন্যান্যরা ভাইয়ের এধরনের চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। মিথ্যা মামলায় আটককৃত মাওলানা মিজানুর রহমান ও শিক্ষা সচিব আবু নাঈমকে দ্রæত মুক্তির দাবি জানান। ###