শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সুন্দরবন উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর নব গঠিত পৌরসভার বিভিন্ন পূজা মন্ডল পরিদর্শন করেন ও সার্বিক খোঁজ খবর নেন মেওয়ার প্রার্থী আলহাজ্ব মোস্তফা আবু বকর এ সময় আর্থীক সহায়তা প্রদান করে।
মহা নবমীতে বুধবার (০১ অক্টোবর ) বিকাল থেকে গভীর রাত পযন্ত শ্যামনগর পৌরসভার হরিতলা সার্বজনীন পুজা মন্ডল পরিদর্শন দিয়ে শুরু করে। তিনি পৌরসভার নকিপুর হরিতলা পূজা মন্ডপ, নকিপুর সর্বজনীন পূজা মন্ডপ, জমিদার বাড়ি রাজ বংশী সর্বজনীন দূগা পূজা উদযাপন কমিটি ও গ্রামবাসী , মাহমুদপুর পূজা মন্ডপ, চিংড়িখালী পূজা মন্ডপ, সহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক বেক্তিদের নিয়ে যায়, প্রতিটা পূজা মন্ডপের নগদ অর্থ প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন
মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য শোকর আলী, রবিউল ইসলাম ও পৌর জামাতের বিভিন্ন দ্বায়িত্ব শিল সহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যক্তিবর্গে উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের শ্যামনগর উপজেলা সদরে পৌর সভার ভিতরে এই পুজা মন্ডল পরিদর্শন এশে খুব ভালো লাগছে।
“গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল পর্ব শুরু হয়েছে । শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি আমার নিজের পক্ষ থেকে আবার ও হিন্দু সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত এবং প্রশংসিত। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মসহ নানা আচার-অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে। এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নজির ইতিহাসে বিরল।
‘বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির উন্নত মডেল। এদেশে সব বিশ্বাস ও ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে পাশাপাশি বসবাস করছে এবং নিজ নিজ ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে।’ সবার অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো পরিণত হয় সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায়।
শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের জাতীয় জীবনে সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করুক। আমি হিন্দু সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের সকল জাতিগোষ্ঠীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। পারস্পরিক ভালোবাসা, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।
অতীতের মতো এবারো যেন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শারদীয় ধর্মীয় উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য আমাদের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের শান্তিপ্রিয় নেতা কর্মি দের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।