প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা জেলা। এ জেলার আশাশুনি উপজেলাটি উপকূলের নিকটবর্তী হওায়ায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙ্গন সহ প্রকৃতিক দুর্যোগে বাড়ি-ঘড়, ফসলের জমি, মাছের ঘের ও রাস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়। যে কারণে এ উপজেলার মানুষকে বর্ষা মৌসুম সহ বছরের অধিক সময় অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে।
প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বিশ^ খাদ্য কর্মসূচি সাতক্ষীরায় ্এই প্রথম
প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীন অবকাঠাম উন্নয়নে বাস্তবায়নকারি সংস্থা সুশীলনের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনির আনুলিয়া, প্রতাপ নগর ও শ্রীউলা ৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কমিউনিটি সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় মাটি ও ইটের রাস্থা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ^ খাদ্য কর্মসুচি ।
রবিবার (২৩.১১.২০২৫) সকাল ১১ টায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থার আর্থীক সহযোগিতায বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্ঠান সুশীলন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে কলিমাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শ্রীউলা ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সহযোগীতায় আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ দেব সরকার আর এইচ ডি হতে লুৎফার মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ৭২০ মিটার এ রাস্থা সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর কারিগরি সহযোগিতায় উদ্বোধণনী অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিপংকার বাছাড় দিপুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুশীলনের কো অডিনেটর ইমরান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ^ খাদ্য কর্মসুচির প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, সুশীলনের উ্প পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল বেলাল, মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক সহ জন প্রতিনিধিগন।
রাস্থাটি মাটি দিয়ে আড়াই ফুট উচু ও ছয় ইঞ্চি ইটের সলিং সম্পন্ন হলে ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের কযেক হাজার মানুষ সরাসরি জেলা ও উপজেলায় চলাচল করতে পারবে। এ ছাড়া মানুষের জীবন যাপনে মান উন্নত হবে, কষ্ট লাঘব হবে।

