কামরুল হাসান : সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠার ২২ বছর অতিবাহিত হলেও একটি ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ টিনশেড এবং খোলা জায়গায় রোদ-বৃষ্টি এবং শীতের দিনে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়া-লেখা করে ভালো ফলাফল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিজেদের জায়গা অটুট রেখেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল এ বিষয়ে বলেন, প্রায় সাড়ে ৪’শ শিক্ষার্থীর পদচারনায় মুখরিত বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত ভগ্নদশা থেকে মুক্ত করতে আজ পর্যন্ত কেও এগিয়ে আসেনি। সরকার আসে সরকার যায় আর বেত্রবতী হাইস্কুল দিন দিন ভগ্নদশার শেষ সীমায় পৌছায়। যার দরজা-জানালা কিংবা পুরাতন টিন শেডটি প্রতিদিন একটু একটু করে শক্ত অবস্থা থেকে নড়বড়ে হতে থাকে। অবকাঠামো ভাঙ্গার সাথে সাথে মনোবল ভাঙতে থাকে মানুষ গড়ার কারিগর সেখানকার প্রতিটি শিক্ষকবৃন্দের। যারা নাকি নিজের পরিবার ঘর-বাড়ির চেয়ে ভালোবাসে তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন দুরন্ত যৌবনের ক্ষণে যোগ দেওয়া প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। তাইতো কোন কোন শিক্ষক চাকুরীর একযুগ পার করেও বেতন না পেয়ে ছাড়তে পারছেন না প্রিয় কর্মস্থল।
তাই সদাশয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তাদের প্রাণের দাবি অচিরেই অবহেলিত বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে (ইআইআইএন-১১৮৬৫৩) একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হোক। আর এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করা হোক এমপিও বঞ্চিত প্রাপ্য শিক্ষকদের।
পূর্ববর্তী পোস্ট