জেসন হোল্ডারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে ১১ রানের রোমাঞ্চকর এক জয়ে সিরিজে টিকে থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লো-স্কোরিং ম্যাচে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ৫ উইকেট তুলে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ওয়ানডেটি এখন সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরের দুটিতে জিতেছিল বিরাট কোহলির দল। বৃহস্পতিবার কিংস্টনে হবে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেটি।
অ্যান্টিগায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে গুঁটিয়ে যাওয়ার সময় ১৭৮ রান পর্যন্তই পৌঁছাতে পেরেছে ভারত।
দুইশর নিচের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে আজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে ৬০ রানের একটি ইনিংস পায় ভারত। ধারাবাহিক রাহানে টানা চার ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে ধাওয়ান ৫, কোহলি ৩ ও যুবরাজের বদলি হিসেবে দলে আসা দিনেশ কার্তিক ২ রানে দ্রুত ফিরে গেলে চাপেই থাকে সফরকারীরা।
রাহানেকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়া ধোনি লড়াইটা জমিয়ে রেখেছিলেন। ১০৮ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ধোনি এদিন নিজের সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটি করেছেন। আগে একবার ফিফটি করতে ৮৮ বল খেলেছিলেন তিনি। মাটি কামড়ে লড়াই করা ওই ফিফটিতে মাত্র এক চারে ১১৪ বলে ৫৪ রানে ধোনি যখন ফেরেন তখনো ১৩ রান চাই ভারতের, ৬ বলে।
কিন্তু পরের ওভারে উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সামিকে ফিরিয়ে লেজ গুটিয়ে দেন হোল্ডার। মাঝে হার্দিক পান্ডিয়া ২০ ও রবীন্দ্র জাদেজাকেও (১১) ফিরিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেট নিতে ম্যাচ সেরা হোল্ডার ৯.৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করেছেন।
এর আগে সাতজন ব্যাটসম্যানের দুই অঙ্কে পৌঁছার দিনে দুইশ পার করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ৩৫ করে এসেছে এভিন লুইস ও কাইল হোপের ব্যাটে। পরে শাই হোপ ২৫, রোস্টন চেইজ ২৪, জেসন মোহাম্মেদ ২০, হোল্ডার ১১, দেবেন্দ্র বিশুর ১৫ রানে লড়াই করার পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
উমেশ যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি করে উইকেট নিয় মূল কাজটা সেরে রেখেছিলেন। কুলদীপ যাদবের ছিল ২টি উইকেট। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে তাদের দারুণ বোলিং পরাজয়ের খাতাতেই থাকল।