শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে এই শহরের বাসিন্দা মাত্র চারজন। তাদের মধ্যে আবার একজন মেয়রও আছেন।
শুধু তাই নয়, শহরে ডাক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক সেবা কার্যক্রমও চালু আছে।
হ্যাঁ, এই শহরটি কানাডায়। এবং এর নাম টিল্ট কোভ।
এটি কানাডার সবচেয়ে ছোট শহর তো বটেই, হয়তো পৃথিবীরও সবচেয়ে ছোট্ট টাউন হতে পারে।
এই চারজন বাসিন্দা শহরটিকে খুব ভালোবাসেন এবং তারা বলেছেন, এখান থেকে চলে যাওয়ার কোন ইচ্ছে তাদের নেই।
চারজন বাসিন্দা হলেও বলা চলে সবাই একটি পরিবারেরই সদস্য।
স্বামী মেয়র, মেয়রের বোন এবং তার একজন শ্যালক ওই শহরের দু’জন কাউন্সিলর এবং অন্যজন শহর কর্তৃপক্ষের ক্লার্ক বা কর্মচারী। এই চারজন ছাড়া টিল্ট কোভে আর কেউই থাকে না।
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাবরাডরের শহর এই টিল্ট কোভ।
চারজনের একজন মার্গারেট কলিন্স, যিনি ক্লার্ক হিসেবে কাজ করছেন, তার জন্ম এই শহরেই। এখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন, টিল্ট কোভে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা যখন ছিলো তখন সেটি ছিলো ২,০০০। আর তা হয়েছিলো সেখানে মাইনিং -এর কাজের জন্যে।
তখন সেখানে নাগরিকদের যা যা কিছু লাগে তার সবকিছুই তৈরি করা হয়েছিলো।
কিন্তু ১৯৬৭ সালে এই খনিটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এক দুর্ঘটনার পর। তারপর শহরের সব বাসিন্দারা এখান থেকে চলে যান চিরতরে।
শহরের মেয়র ডন কলিন্স বলেন, মাত্র চারজন বাসিন্দা হওয়ার কারণে তাকে খুব বেশি কাজ করতে হয় না। তবে তিনি খুশি।
চিঠি সরবরাহ, আবর্জনা সংগ্রহ, রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণের মতো কাজগুলোও তাকে দেখভাল করতে হয়। শহরে একটি জাদুঘরও আছে।
মেয়র ডন বলেছেন, পুরো জীবনটাই তিনি টিল্ট কোভে কাটিয়েছেন। বাকি জীবনটাও কাটাতে চান এখানে।
মার্গারেট কলিন্স বলছেন, এখন তারা বুড়ো হচ্ছেন। একসময় তারাও হয়তো এই শহর থেকে চলে যেতে বাধ্য হবেন এবং সেটি হবে তার জীবনের সবচে দুঃখজনক ঘটনা।