শাশুড়ির চড় খেয়ে অপমানে আত্মহত্যা করলেন জামাই! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে রিজেন্ট পার্ক এলাকায়। বিষয়টা শোনার পরই অনেকেই ভ্রু কুচকাবে। কিন্তু ঘটেছে এমনটাই। মৃত যুবকের নাম পিন্টু মল্লিক। গত সোমবার ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। এরপর মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘরের মধ্যে থেকে। শেষপর্যন্ত বুধবার সকালে পিন্টুর পরিবারের তরফে তাঁর শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগেই হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পিন্টুর স্ত্রী পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পারেন পিন্টু। এরপর থেকেই অশান্তি লেগেছিল। প্রায়শই স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে এই নিয়ে গোলমাল হত। গত রবিবারও একই গোলমালে জড়িয়ে পড়েন পিন্টু ও তাঁর স্ত্রী। গোলমাল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন পিন্টুর স্ত্রী। সোমবার আনন্দপল্লিতে বাপের বাড়িতে চলে যান তিনি। এরপর স্ত্রীকে বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে আনতে যান পিন্টু। কিন্তু ঘরে ফেরা তো দূর, ফের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, এরপরই মেয়ের পক্ষ নিয়ে শাশুড়ি চড় মারেন পিন্টুকে। রাগে অপমানে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পিন্টু। বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়ির লোককে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি ঘরে ঢুকে যান। রাতে কিছু খাননি বলেও জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
এরপরেই মঙ্গলবার সকালে ঘরের দরজা না খোলায় পিন্টুকে ডাকাডাকি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়া না মেলায় ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তারা পিন্টুর মৃতদেহ দেখতে পান। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এরপরই বুধবার সকালে রিজেন্ট পার্ক থানায় পিন্টুর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে শাশুড়ির অপমানের জেরেই আত্মঘাতী হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তখনই জানা যায় চড়ের অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন