ডেস্ক রিপোর্ট: কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর যত দিন গড়াচ্ছে ততই উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রকাশ্যে সংযম দেখানোর পথে হাঁটলেও ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের ওপর আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের ‘ওয়ার রুমে’ প্রায় দুই ঘণ্টা কাটিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদির সঙ্গে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনাবাহিনী প্রধান দলবীর সিং সুহাগ, বিমানবাহিনী প্রধান অরুপ রাহা ও নৌবাহিনী প্রধান সুনিল লাম্বা। মূলত যুদ্ধের সময়ই সাউথ ব্লকের এই ঘরটিকে ‘কন্ট্রোল রুম’ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলেও দাবি সংবাদমাধ্যমের।
জানা গেছে, ওয়ার রুমে যাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয় সেখানকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন। বালি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটির মডেল বানিয়ে বোঝানো হয়, কীভাবে আচমকা হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া যায় পাকিস্তানকে।
উরি হামলার পর পাকিস্তানকে এবারে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে কূটনৈতিক থেকে সশস্ত্র হামলার যাবতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ভারতের মোদি সরকার। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েক দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেছে। ভারতের বিভিন্ন মহল থেকেও এবারে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে। ফলে কাশ্মীরের উরি সেক্টরে সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের শায়েস্তা করতে এবারে এক রকম বদ্ধপরিকর ভারত।
এর আগে গত রোববার কাশ্মীরের উরি সেক্টরে সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই হামলার নেপথ্যে যারা তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার জানিয়েছিলেন, উরি হামলার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি দিতে এবারে ভারত সরকার গুরুত্ব দিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।
এর মধ্যে বুধবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত অবশ্যই একটি দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন দেশ। তবে তার মানে এটা নয় যে বারবার সীমান্তপার থেকে সন্ত্রাস চলবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব।’