বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে আপাতত রদবদল হচ্ছে না। বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক এই পদে থাকছেন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত বৃহস্পতিবার আইজিপি বদলের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও পুলিশ ও সরকারের ভেতরে একটি অংশের আপত্তির কারণে তা আর এগোয়নি।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইজিপি বদলের আলোচনা শুরু হয়েছিল এটা ঠিক, তবে সেটা আর কার্যকর হয়নি। এটা আপাতত হচ্ছেও না। কেন হঠাৎ করে আইজিপি বদলের আলোচনা শুরু হলো? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বলেছেন, তিনিও মনে করেন এখনই আইজিপি বদল হচ্ছে না। বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক অবসরে যাওয়া পর্যন্ত এই পদে থাকছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নতুন আইজিপির ব্যাপারে প্রস্তাব তৈরি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। সে অনুযায়ী পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীর নাম আইজিপি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর আগেই ফাঁস হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় নানা গুঞ্জন। পুলিশ ও সরকারের ভেতরেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি অংশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় নামে। এর সঙ্গে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যুক্ত হন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার একপর্যায়ে প্রক্রিয়াটি থেমে যায়।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, আইজিপি বদল হচ্ছে কি না, সেটা তাঁর জানা নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান আইজিপি শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বর্তমান পদে যোগ দেন। তিনি স্বাভাবিক অবসরে যাবেন আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি। এরপর যাঁকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ জন্য পরবর্তী আইজিপি কাকে করা হবে, সেটা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান আইজিপির মতো জাবেদ পাটোয়ারীও বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। তাঁর স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার কথা ২০২০ সালের এপ্রিলে।
সূত্র : প্রথম আলো