সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সম-সাময়িক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি । এরই ধারাবাহিকতায় এবার বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার ১২ বছর বয়সী দুর্ভাগা কিশোরী মুক্তামনিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।
কয়েকটি ছবিসহ প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়েছে, এই মর্মহত ছবিগুলো ১২ বছর বয়সী বালিকার, যে ধীরে ধীরে ‘বৃক্ষ মানবে’ রূপান্তর হতে যাচ্ছে। এতোমধ্যে তার শরীরের উপরের অংশ ‘বৃক্ষ মানব’ রোগে পচে গেছে। অসহ্য যন্ত্রণা তো আছেই, তার হাতের সঙ্গে বুকের ডান পাশের অংশ বাদামী বর্ণ ধারণ করেছে, যা দেখতে গাছের বাকলের মতো।
খবরে বলা হয়, মুক্তামনির ডান হাত প্যারাসাইটসে আক্রান্ত। যা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বাঁকা হয়ে আসতে থাকা হাতটি এখন অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে মুক্তামনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাম হাত এখনও আক্রান্ত হয়নি। তারপরও চিকিৎসকরা বলছেন, রোগটি তার সারা দেহে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘বৃক্ষ মানব’ লক্ষণকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় এপিডারমোডাইপ্লাসিয়া ভেরাসিফরমিস (ইভি)। তবে মুক্তামনির প্রকৃতপক্ষেই সেই রোগ কিনা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি চিকিৎসকরা। তবে যদি সে সত্যি এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে বিশ্বের ‘হাফ ডজন’ রোগীর মধ্যে সে একজন।
ইভি এমন একটি বিরল লক্ষণ যাতে চামড়ার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যা দেখতে আঁচিলের মতো হয়। লালচে আঁচিল সারাদেহে দেখা দেয়। পরে তা বর্ধিত হতে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, দুটি অস্বাভাবিক ইভি জিনের কারণে এ রোগ হয়। এর একটি আসে মা ও অন্যটি বাবার শরীর থেকে। তবে এখন পর্যন্ত এই রোগের ভালো কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি।