নিজস্ব প্রতিবেদক : যাতায়াতের রাস্তা কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও ভূয়া ওয়ারেন্টের মাধ্যমে গ্রেফতার করানোর প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পলাশপোল এলাকার মোকাদ্দেস গাজীর ছেলে কওছার গাজী। তিনি বলেন, আমি গাজী ট্রেডার্স পলাশপোল (খান কমিনিটি সেন্টার মার্কেট) সাতক্ষীরা। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ব্যবসা করিয়া আসছি। পলাশপোল মৌজায় ১৭৬৩/১৭ নং খতিয়ানে ১১৩৪৩ দাগে ১৩ শতক পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। আমার বাড়ির উত্তর দিকে বসবাস করেন আমিরুল ইসলামের ছেলে শহীদুল ইসলাম। দক্ষিণে রয়েছে শহীদুলের মামা মৃত: আব্দুল মোজিতের ছেলে খাইরুল ইসলাম। শহীদুলের বাড়িতে যাতায়াতের জন্য ১ নভেম্বর ০৯ সালে সাতক্ষীরা পৌরসভায় একটি শালিসের মাধ্যমে পূর্ব-পশ্চিম ৩৪ ইঞ্চি চওড়া ও উত্তর দক্ষিন ৩৮ ফুট লম্বা রাস্তাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বহু বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে অত্র এলাকার প্রায় ৩০ ঘর পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু শহীদুল আমার বাড়ি নির্মাণের সময় হঠাৎ করে যাতায়াতের ওই রাস্তাটি নিজের নামে ক্রয় করার দাবি করে বসেন। কিন্তু আমি তার দাবিতে সাড়া না দিলে সে তার মামা খায়রুলের সাথে প্রকাশ্যে বলে যে “কওছার সোজা করা আমার একদিনের আয়।” এরপর থেকে টাকার প্রভাব খাটিয়ে আমার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও জজকোর্ট থেকে ভুয়া ওয়ারেন্ট তৈরি করে আমাকে গ্রেফতার করিয়ে নি:স্ব করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি শহীদুল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। শহীদুলের অসৎ উদ্দেশ্যে সফল করতে তার মামা খায়রুল ইসলাম ও তার এক আতœীয় ইলেক্ট্রনিক্স মিস্ত্রি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ওই মিস্ত্রী ইতোমধ্যে প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। ইতোপূর্বে কোট থেকে কক্সবাজারের রামু থানার একটি ভুয়া ওয়ারেন্ট (যার নং- সিআর২১৫/১৫ ইং) জারি করে। এতে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পেরেণ করেন। পরবর্তীতে আমি জামিনে মুক্তি পেয়ে আমি কক্সবাজারের রামু থানায় গিয়ে জানতে পারি ওই তারিখে উক্ত থানায় এধরনের মামলা রেকর্ড হয়নি এবং ওই গ্রেফতারি পরোয়ানাটি ভূয়া বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া সিআরপি ৫২/১৫(দেব) তাং- ২৩/৯/১৫ তারিখের একটি মামলায় আমাকে ১৪ নং আসামী করা হয়। অথচ ওই ঘটনার কিছু আমার জানানেই। অপরদিকে কালিগঞ্জের বৈরাগীরচক ভূমিহীন পাড়ার সিআরপি ২০৪/১৫ নং মামলা আমাকে ৮৫ নং আসামী করা হয়। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এছাড়া সম্প্রতি সিলেট জায়রা জজ আদালতের ৭২/১৫ চাঁদাবাজি মিথ্যা গ্রেফতারি পরয়ানা দিয়ে হয়রাণী করছে।
টাকা দিকে যাতায়াতের রাস্তা জোরপূর্বক ক্রয় করতে না পেরে এলাকার কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তিদের পরামর্শে শহীদুল ইসলাম গং আদালতের কিছু অসাধু ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। শহীদুল ইসলাম গং-রা এভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে একজন চিহ্নিত আসামি হিসাবে পরিণত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে তার অসৎ উদ্দেশ্যে সফল করতে পারে। সে ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে বলেছে ওর কাছ থেকে রাস্তা ক্রয় করতে না পারলেও ওকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নিঃস্ব করে ওই বাড়ি কিনে নেবো, পারলে ঠেকাবে। শহীদুল সব সময় বলে, আমি মটরসাইকেল ম্যাকানিক। সাংবাদিক, পুলিশ, উকিল, মুহুরি সবাই আমার হাতে ধরা। কওছারের মত লোককে সায়েস্তা করতে আমার সময় লাগে না। একারণে এলাকাবাসী আমার পক্ষে কথা বলতেও ভয় পায়। শহীদুল যদি আবার তাদের বিরুদ্ধে লাগে।
আমাদের ৭ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আমি। এদিকে এসব মিথ্যা মামলার কারণে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করার জন্য বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে। শহীদুলের ইঙ্গিতে দেয়া মিথ্যা মামলার কবলে পড়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের মুখে। এছাড়া কোর্টে আমার নামে যে সব মামলা রয়েছে তার কোন সমন আমাকে না দিয়ে আদালত অবমানার দায়ে গ্রেফতারি পরোয়া জারিয়ে করিয়ে নিচ্ছে শহীদুলের ভাড়াটিয়া লোকজন। এতে করে আজ আমি নিঃস্ব প্রায়। ওই কুচক্রী শহীদুল, খায়রুল গংদের ইঙ্গিতে দেয়া মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট