ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির মিথ্যা অভিযোগে আগৈলঝাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক সালমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদি ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট সাজুকে সাময়িক বহিষ্কারের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় অংশ নিতে যাওয়া নেতারা ইউএনও তারেক সালমানের প্রসঙ্গ তোলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাজু সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতাদের বলেন, ‘তার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিন।’
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, ‘কিছু লোক আওয়ামী লীগ হয়ে আমাদের দলে ঢুকে, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে। কাউকে দলে নেওয়ার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত। তার উদ্দেশ্য কী, সেটাও ভালো করে জানা উচিত। কারও বিষয়ে বিস্তারিত না জেনেও তাকে দলে নিয়ে পদ-পদবি পর্যন্ত দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে, এগুলো যারা করছেন, তা অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। মনে রাখতে হবে, তারা আসেন পদ নিতে। তারা পদ নিয়ে দলের ও সরকারের ক্ষতিই করবেন।’
ওবায়েদউল্লাহ সাজু বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি একইসঙ্গে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, ইউএনওর বিরুদ্ধে অতি উৎসাহী হয়ে মামলা করেছেন ওবায়েদুল্লাহ সাজু। তিনি অহেতুক মামলা করেছেন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ৭ জুন ইউএনও তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওবায়েদউল্লাহ সাজু। মামলায় অভিযোগ করা হয়, জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রেবিঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্কিৃত করে ছাপা হয়েছে।
তারিক সালমন বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউএনওর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী সাজু বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু লোক আওয়ামী লীগ হয়ে আমাদের দলে ঢুকে, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে। কাউকে দলে নেওয়ার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত। তার উদ্দেশ্য কী, সেটাও ভালো করে জানা উচিত। কারও বিষয়ে বিস্তারিত না জেনেও তাকে দলে নিয়ে পদ-পদবি পর্যন্ত দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে, এগুলো যারা করছেন, তারা অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। মনে রাখতে হবে, তারা আসেন পদ নিতে, তারা পদ নিয়ে দলের ও সরকারের ক্ষতিই করবেন।’