মাহাফিজুল ইসলাম আককাজ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার-০২ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে কোন সভা-সমাবেশ বা দলীয় কর্মসূচি পালন না করলেও প্রচারণায় পিছিয়ে নেই তিনি। নীরবেই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে। দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে, প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। একই সাথে জেলার চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি। ইতিমধ্যে তিনি সাতক্ষীরা ০২ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আব্দুল আলিম ১৫ অক্টোবর ১৯৫৯ সালে লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত আবুল কাশেম ছিলেন লাবসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। ১৯৬২ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তার পিতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাতা মৃত বকুল জান বিবি ছিলেন গৃহীণি। ১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত পর পর ৬ বার আব্দুল আলিম লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আব্দুল আলিম ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং লাবসা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম সরকার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তারের সময়ে ইউনিয়ন গ্রাম সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। ২৭ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ১৭ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে তার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি বিএনপির কঠিন ক্লান্তিলগ্নে হাল ধরেছিলাম এবং বার বার জেল, জুলুমের শিকার হয়েছি। আমি আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন এবং আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিদের কর্মসংস্থান, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবো। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ত্যাগী, নিবেদিত নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। মনোনয়ন তো সবাই চাইতেই পারেন। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ত্যাগী নেতার হাতেই ধানের শীষ তুলে দেবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট