বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছায় নিম্নচাপে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, কয়েক দিনের টানা ভারী ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাতে উপজেলার পৌরসদরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারোও চিংড়ি ঘের, পুকুর, জলাশয়ের মাছ ও চিংড়ি ভেসে গেছে। চলতি মৌসুমের আমনের বীজতলায় হাটু পানিতে, ক্ষেতের ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিতে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বীজ সরবরাহ না করা হলে কোন ক্রমেই আমনের লক্ষ্যমাত্রা পুরন হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উপজেলার পৌর সদরসহ ১০টি ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের মালিক ও কৃষকদের মাঝ থেকে জানা গেছে, নিম্নচাপের কারণে কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে মিষ্টি পানির পুকুর, জলাশয়, হাজার-হাজার বিঘার লবণ পানির চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্য দিকে, অতি বৃষ্টিতে কৃষি ক্ষেত-খামারসহ চলতি আমন মৌসুমের বীজতলায় হাটু পানির উপরে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্লাবিত হয়ে কোথায়ও- কোথায়ও জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অসাধু কিছু ঘের মালিক স্লুইচ গেট নিয়ন্ত্রন করে কৃতিম জোয়ার সৃষ্টি করে ক্ষতি ডেকে আনছেন বলে এমন তথ্য দিয়েছেন অনেকে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টিতে হরিঢালী, কপিলমুনি, গড়ইখালী, দেলুটিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ১শ হেক্টরের অধিক আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমান আরোও বৃদ্ধি হতে পারে বলে কৃষি দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, এ মৌসুমে বীজের ঘাটতি পূরনের সম্ভাবনা নেই। তবে, তাঁরা কৃষকদের টিনের গোলা বা বাড়ীতে সংরক্ষিত ভোজধান থেকে বীজতলা বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভাংঙন কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙ্গনের আশংঙ্খায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট