কলারোয়া ডেস্ক : আর কত বয়স হলে বিধবা ভাতার কার্ড পাবে করুনা দাসী? সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হলো গয়ড়া গ্রাম। ওই গ্রামের জেলে পাড়ার (স্থানীয় ভাষায়- পাড়ুই পাড়া) বাসিন্দা করুনা দাসী। বয়স ছুয়েছে প্রায় ৮০’র কোটায়। তার স্বামী ধীরেন দলপতি মারা গেছেন ২০ বছরের মতো।
করুনা দাসীর ৪৫বছর বয়সী ছেলে নিলকি দলপতি মাছ ধরার জাল টানার কাজে কামলা (জন) হিসেবে কাজ করেন। যখন কাজ থাকে না তখন পাশের একটি রাইসমিলেও কাজ করেন। জোটে যতসামান্য উপার্জন। মা করুনা দাসী ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোনরকম ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ সংসার চলে পুত্র নিলকি দলপতির।
সংসারে একটু সাহায্য করতে করুনা দাসী বৃদ্ধ বয়সেও অন্যের দোকানে কাজ করেন অল্প কিছু টাকা আয়ের আশায়। গয়ড়া বাজারের কয়েকটি চায়ের দোকানে ঝাড়ু দিয়ে, কাপ কেটলি মেজে, পানি এনে দিয়ে, পরিষ্কার করাসহ কিছু হাতের কাজ করে দিয়ে সামান্য টাকা উপার্জন করেন তিনি। জীবিকা অর্জনে এটাই তার একমাত্র ভরসা।
অনেক চেষ্টা করেও কোন ভাতার কার্ড পাননি করুনা দাসী। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কিংবা অন্য যেকোন ভাতার কোন কার্ড-ই জোটেনি তার কপালে। চেষ্টা যে করেননি তা নয়, বরং বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
কার্ড না পাওয়ার বিষয়ে করুনা দাসী বলেন- মেম্বর-চেয়ারম্যানের কাছে বহুবার গেলেও আমার নাম সিরিয়ালে আছে শুনেছি। কিন্তু কার্ড হয়নি। …দিলে হয়তো পেতাম, কিন্তু দেবো কী করে? আমার তো সেই রোজগার নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন- ‘আর কত বয়স হলে ভাতার কার্ড পাবো?
পূর্ববর্তী পোস্ট