প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমানকে চাঁদা না দেওয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহ গোলাম ইদ্রিসের ছেলে ও জেলা আওয়ামী যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মন্টু এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নানার বাড়ির ফারায়েজ সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান তার কাছে দু’দফায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তিনি ওই জমিতে তাদের উঠতে দেবে না বলে হুমকি দেন। পরে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ২০.৯.১৬ তারিখ সকাল ১০টায় ওসি গোলাম রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মিজানুর রহমান মন্টুর বাড়িতে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মা ও স্ত্রীকে গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই সময় এএসআই রিয়াজ আহমেদ তার বড় ছেলে মাহিম শাহকে মারধর করে। কনস্টেবল জাহাঙ্গীর ও মিজান তার ছোট ছেলে ফাহিম শাহকে লাথি মেরে খাটের ওপর থেকে ফেলে দেয়। একই সময়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা ঘরের তোশকের নিচ থেকে ৭৬ হাজার টাকা, মটর সাইকেল, দুটি স্বর্ণের কানের দুল, তিনটি স্বর্ণের চেইন ও দুটি হাতের রুলি লুট করে নিয়ে যায়। এরপরও ক্ষ্যান্ত হয়নি ওসি। তিনি মিজানুর রহমান মন্টুকে অন্যের দায়ের করা একটি অপহরণ ও একটি চাঁদাবাজির মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ওসিকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট