নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী গাজী এই অভিযোগ করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইয়াকুব আলী গাজীরা ৫ ভাই ও ২ বোন। পিতার মৃত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে তেতুলিয়া বাজারে তারা প্রত্যেকে এক শতক করে জমি প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে তার সেঝ ভাই দাউদ আলী ২০১১ সালে নিজের অংশের জমি বিক্রি করে দিয়ে ইয়াকুব আলীর জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকেন। এই জন্য দাউদ আলী টাকার বিনিময়ে আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুকে ভাড়া করে ইয়াকুবের পিছনে লেলিয়ে দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ইয়াকুবের ছেলে নুর ইসলাম গাজী ও রবিউল ইসলাম গোয়ালডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার পথে মন্টু বাহিনী তাদের ধাওয়া করে। ওই সময় নুর ইসলাম ও রবিউল তিতুখালীর জগদীশ বাবুর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের বের করে আনে মন্টু বাহিনীর সদস্যরা। তারপর রাস্তায় ফেলে তাদের দুইভাইকে বেদম মারপিট করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাদের দুইভাইয়ের পা। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় মন্টুসহ তার লোকজন। পরে বিকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের উদ্ধার ও মন্টু বাহিনীর সদস্য ফজলু গাজীকে আটক করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান মন্টু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ঘের দখল, নারী নির্যাতনসহ ২৫টি মামলার আসামি। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মন্টুকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইয়াকুব আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে নুর ইসলাম ও রবিউল।