আব্দুল জলিল: চিকিৎসকের অসতর্কতায় সিজারে কপালে অস্ত্রের আঘাত নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে শিশুটির অক্সিজেন মাক্স খুলে দিয়ে তাকে খুলনায় পাঠানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ শিশুটির পরিবারের। এদিকে পত্রপত্রিকায় এই রিপোর্ট প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতাল কতৃপক্ষ শিশুটির মা সোমা খাতুনকে সোমবার সকালে জোর করে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিয়েছে।
সোমা খাতুনের মামা আইয়ুব আলি জানান, সোমা খাতুনকে সংগ্রাম হাসপাতলে রেখে বাচ্চাটিকে ডাক্তারের পরামর্শে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তারের অবহেলায় বাচ্চাটি মারা গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনা কেন আমরা সাংবাদিকদের বলেছি তাই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সামসুর রহমান রোববার রাতে রাগান্নিত হয়ে বাচ্চাটির মুখের মাসক খুলে দিয়ে খুলনায় নিয়ে যেতে বলে। তিনি আরও বলেন, আমারা ডাক্তারের বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি আমাদেরে কথা না শুনে চলে যান। সোমবার ভোরে বাচ্চাটি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
সোমা খাতুনের স্বামী আবুল হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালের ডাক্তারের অবহেলায় আমার বাচ্চাটি মারা গেছে। এদিকে প্রাইভেট ক্লিনিক সংগ্রাম হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদের কে বলে তোমরা এক্ষুনি হাসপাতাল থেকে চলে যাও। তোমাদেরকে আর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হবে না। এক প্রকার জোর করে হাসপাতাল থেকে আমাদেরকে জোর করে বের করে দেয়। সোমা খাতুনের স্বামী আরও বলেন ডা: সুদেষ্ণা সিজারিয়ান ডাক্তার না। তিনি তিন মাসের একটি কোর্স করে এসে শহরের বিভিন্ন কিøিনকে সিজার করে থাকেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শামসুর রহমান জানান, চিকিৎসকের অবহেলায় বাচ্চাটি মারা যায়নি। বাচ্চাটির অক্সিজেন খুলে দেওয়া বিষয়টি তিনি অস্বিকার করেন। তবে কেন বাচ্চাটি মারা গেছে তা তিনি বলতে পারেননি।
তবে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা: তওহিদুর রহমান সিজারে অস্ত্রের আঘাতে শিশুর মৃত্যু হয়নি দাবি করে বলেন, শিশশুটি প্রি ম্যাচিউড ছিল। প্রিম্যাচিউড শিশুটি কেন ইনকিউবেটরে রাখা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএস বলেন, এটি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলতে পারেন।
এ ব্যাপারে ডাক্তার সুদেষœা বলেন, বাচ্চাটি মারা গেছে আমি শুনেছি। তবে অপুষ্টিজনিত কারণে মারা যেতে পারে।
উল্লেখ্য গত ১৮ আগস্ট সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে কেশর নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে শহরের সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানেই শনিবার দুপুরে সোমা খাতুনের সিজার করেন ডা. সুদেষ্ণা। ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু বিপদ ঘটে যায় চিকিসৎকের অসর্তকতায়। সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার মাথার বাম পাশে কেটে ফেলে চিকিৎসক। তাৎক্ষণিক তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট