পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে, জ্বালিয়ে দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি।
অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে এআরএসএ এক বিবৃতিতে এই মানবিক সংকটের শিকার সবাইকে ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে সহায়তা দিতে ত্রাণ সহায়তাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের এই অস্ত্রবিরতির ঘোষণা চলমান পরিস্থিতির উপর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে মনে করছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে তাতে উল্লেখ করার মতো কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি এই গোষ্ঠী। গত দুই সপ্তাহে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডজন ডজন গ্রাম ধ্বংস করা হয়েছে এবং সহিংসতার মুখে প্রাণ বাঁচাতে এখনও হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশের পথে রয়েছে।
বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিও অস্ত্র রেখে সব ক্ষতিগ্রস্তের কাছে ত্রাণ যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এআরএসএ।
রাখাইনে সেনা অভিযান নিয়ে মিয়ানমার সরকার বলছে, সন্ত্রাসী সংগঠন এআরএসএ’র বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে তারা।