অতিথি গোলরক্ষককে প্রথম বড় পরীক্ষায় ফেলেন সুয়ারেস। চোট কাটিয়ে ফেরা তারকা স্ট্রাইকারের ১৯তম মিনিটের ফ্রি-কিক কোনোমতে ফিরিয়ে দেন পাও লোপেজ।
চলতি আসরের প্রথম দুই ম্যাচে জিতলেও ঠিক স্বরূপে দেখা যায়নি বার্সেলোনাকে। স্পেনের অন্যতম সফল দলটি এদিন ছিল অনেক বেশি উজ্জ্বল। রক্ষণে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। আক্রমণে মেসি-সুয়ারেসরা ভীতি ছড়িয়েছেন অতিথি শিবিরে।
২৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইভান রাকিতিচের ডিফেন্স চেরা পাস ধরে পায়ের কারিকুরিতে একজনকে ফাঁকি দিয়ে জায়গা করেন মেসি। ছুটে আসছিলেন আরও দুইজন, তারাও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শট খুঁজে নেয় জাল। রিপ্লেতে দেখা গেছে অফ সাইডে ছিলেন মেসি।
৩০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ আসে রাকিতিচের সামনে। তবে খুব কাছ থেকে তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। এর চার মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান মেসি।
প্রতি আক্রমণ থেকে বল পাওয়া মেসি বল বাড়াতে চেয়েছিলেন জর্দি আলবাকে। একজনের গায়ে লেগে দিক পাল্টায় বল কিন্তু আরেক জনের গায়ে লেগে পেয়ে যান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। তার কাটব্যাকে মেসির ডান পায়ের চতুর স্পর্শ গোলরক্ষককে বিভ্রান্ত করে জড়ায় জালে।
৪৩তম মিনিটে একটুর জন্য ব্যবধান কমাতে পারেনি এসপানিওল। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাবলো পিয়াতির শট বারে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সাত মিনিটে একটি করে সুযোগ পায় দুই দল। ৪৯তম মিনিটে সুয়ারেসের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক লোপেজ। তিন মিনিট পর পিয়াতি একটুর জন্য লক্ষ্যে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
৫৬তম মিনিটে মেসির দারুণ পাসে ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস। ছয় মিনিট পর এসপানিওলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বাপতিস্তাওয়ের বুলেট গতির শট কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান সামুয়েল উমতিতি।
আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা মেসি ৬৭তম মিনিটে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। তার কাছ থেকে বল পাওয়া সুয়ারেসকে ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এসপানিওলের প্রায় সবাই। উরুগুয়ের স্ট্রাইকার শট না নিয়ে বল দেন আলবাকে। তার বুদ্ধিদীপ্ত পাস খুঁজে পায় অরক্ষিত মেসিকে। বাকি টুকু সহজেই সারেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
এবারের লিগে মেসির এটা পঞ্চম গোল। আর লা লিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল হলো ৩৫৪টি।
তার পরের মিনিটে মাঠে নামেন কদিন আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া দেম্বেলে। তাতে আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। ৮৭তম মিনিটে কর্নার থেকে পিকের গোল তারই ফসল।
৯০তম মিনিটে স্কোরলাইনে নাম লেখান সুয়ারেস। চলতি মৌসুমে এটাই তার প্রথম গোল। দেম্বেলের দারুণ পাস ধরে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন তারকা স্ট্রাইকার। গোল পেলেন সুয়ারেস আর অভিষেক ম্যাচে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের সামর্থ্য দেখালেন বার্সেলোনার সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়।
টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা।
ভালেন্সিয়ার মাঠে গোলশূন্য ড্র করা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫।
দিনের প্রথম ম্যাচে লেভান্তের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৫।