নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় মামলা করা করায় বাদিপক্ষে লোকজনকে মারপিটে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিকাল ৪টায় সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামে এঘটনা ঘটে। এতে মহিলাসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত গোলাম রসুল জানান, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে একই এলাকার মৃত আবু বক্কর শেখের পুত্র আনছার আলী, আকবর আলী গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ সূত্র ধরে গত ১৯ জুলাই ’১৭ তারিখে পুত্র আনছার আলী, আকবর আলী, মৃত মোবরক শেখের পুত্র পুত্র জামাল উদ্দীন, আনছার আলীর পুত্র রিপন শেখ, স্ত্রী মর্জিনা খাতুনসহ কয়েকজন দলবদ্ধ হয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রী শরবানুকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলায় ৩ জনকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সম্প্রতি আসামীরা জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে মামলা তুলে নিতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে রোববার বিকালে মৃত মোবারক শেখের পুত্র কামাল শেখ, আবু বক্করের পুত্র আকবর শেখ, আনছার শেখের পুত্র রিপন, লিটন শেখ, আনছার শেখের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, আকবরের স্ত্রী হাছিনা খাতুন, জামাল শেকের স্ত্রী আকলিমা খাতুন, লিটন শেখের স্ত্রী চুমকি খাতুন ও আলাউদ্দিনের স্ত্রী হালিমা খাতুন দলবদ্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এসময় তারা বেড়াতে আসা গোলাম রসুলের কন্যা আমেনা খাতুন, ছেলে সিদ্দিকুল, গোলাম মোস্তফা ও গোলাম রসুলকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তবে আমেনার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এদিকে উল্লেখিত আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য বিক্রয় করে থাকে। এ ঘটনায় আসামিদের জামিন বাতিল পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিছেন আহত গোলাম রসূল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ: মামলা করায় বাদিপক্ষকে মারপিট: বাদ যায়নি বেড়াতে আসা কন্যাও
পূর্ববর্তী পোস্ট