রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী চালাচ্ছে জাতিগত নিধন ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। আর এ হত্যাযজ্ঞে তারা ব্যবহার করছে নানা ধরনের অস্ত্রসস্ত্র।
অথচ একবিংশ শতাব্দীর আগেও সামরিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে ছিল মিয়ানমার।
১৯৯০ সালের পর থেকেই ক্রমশ সামরিক অস্ত্রে বলিয়ান ওঠে মিয়ানমার সামরিক জান্তা। মালিক হয়ে ওঠে যুদ্ধবিমান, মিসাইল, সামরিক যানসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের। এর পর থেকে দেশটি তাদের মোট জাতীয় বাজেটের এক-চতুর্থাংশ ব্যয় করে সামরিক বাহিনীর পেছনে মিয়ানমার। দীর্ঘদিনের এই খরচে দেশটির সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহৎ শক্তিতে পরিণত করেছে।
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এসআইপিআরপি) বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রেতাদের নাম তুলে ধরা হয়।
এতে দেখা যায়, ১৯৯০ সালের পর থেকে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে চীন। তারা ১২০টি যুদ্ধবিমান, ৬৯৬ সাঁজোয়া যান, ১২৫ কামান, ১০২৯ মিসাইল, ২১টি নৌ-জাহাজসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।
এর পরেই বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। তারা ৬৪টি যুদ্ধবিমান, ১০০ কামান ও ২৯৭১টি মিসাইলসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।
মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে ভারতও এগিয়ে গেছে। যুদ্ধবিমান, কামান, নৌ-জাহাজসহ সেকেন্ডহ্যান্ড অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে দেশটি।
ইসরাইল মিয়ানমারের কাছে অনেক আগে থেকেই অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। তারা সাঁজোয়া যান, কামানসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র বিক্রি করছে সামরিক জান্তার কাছে। এ ছাড়া তারা মিয়ানমারের সেনাদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া ইউক্রেন ও সার্বিয়া মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। ইউরোপের কিছু দেশ জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।