দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা সরকারি চাল আতœসাত ও বিক্রয় মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও,তাদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সরকারি সম্পত্তি আতœসাত ও বিক্রয় করায় পুলিশ বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের পর থেকে অপরাধীরা এলাকায় ছেড়ে আত্মগোপন করলেও পুনরায় আবার এলাকায় ফিরেছে। বাড়িতে, রাস্তাঘাটে, বাজারে, উপজেলার বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিভিন্ন চায়ের দোকানে অবস্থান করলেও পুলিশ যেন তাদের দেখেও দেখছে না। উল্লেখ্য যে, ০৭/০৯/১৬ তারিখে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গরীব, অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা চাল আত্মসাত করে বিক্রয় করার অভিযোগ এনে বাদী হয়ে ইউনিয়ন পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জামান বকুল বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি জমাদেন। পরদিন অভিযুক্তরা ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও ভুয়া প্রতিবাদ দিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি। ০৯/০৯/১২ তারিখে হাদিপুর এলাকায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের যোথ প্রচেষ্টায় ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার হয় এবং ২ জন চাল ক্রেতাসহ মোট ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। ২ দফায় অভিযান চালিয়ে নলতা থেকে ৮ বস্তা চাল উদ্ধার হয়। পরে দেবহাটা থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৪০৯/১০৯ ধারায় ১০/০৯/২০১৬ তারিখে ৪নং মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার প্রধান আসামি চাঁদপুর গ্রামের মৃত দারবক সরদারের পুত্র উপজেলা বিআরডিপি’র চেয়ারম্যান ও তৎকালিন নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ২য় আসামি রামনাথ পুর গ্রামের রশির সরদারের পুত্র ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার, ৩য় আসামি বেজরআটি গ্রামের কামাল উদ্দীনের পুত্র ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আসমোতুল্লাহ আসমান, হাদিপুর গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী আকবর আলী দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে আত্মগোপন করে সাম্প্রতিক তাদের এলায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশ বাদী ঐ মামলায় আটক পরবর্তী কারাভোগ শেষে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছে বাকি দুই চাল ক্রেতা ফজলু ও মাসুম। এদিকে, তাদের এলাকায় ফিরে আসার পর সরকারি সম্পত্তি আতœসাত ও বিক্রয়করার শাস্তি না পেয়ে ছাড় পেয়ে যাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে হয়ত সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে পারে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে এসব এজাহার নামীয় আসামীদের আটক আটক পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।