গোলমরিচকে বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যসম্মত মসলা হিসেবে মনে করা হয়। এর আছে নানা ঔষধি গুণাগুণ। গোলমরিচ হল সব থেকে উপকারী মশলা। এটি ডায়রিয়া, হার্টের অসুখ থেকে শুরু করে দাঁতের অসুখ অ্যানিমিয়া এমনকি সর্দি কাশিতেও বেশ কাজ দেয়।
খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম গোলমরিচে আছে প্রোটিন ১১.৫ গ্রাম, ফ্যাট ৬.৮ গ্রাম, শর্করা ৮৯.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৬০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৯৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ১৬.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ১৮০০ আইইউ, ভিটামিন বি১ ০.০৯ মি.গ্রা, ভিটামিন বি২ ০১.৪ মি.গ্রা. ও নিয়াসিন ১.৪ মিলিগ্রাম।
আসুন জেনে নেওয়া যাক গোলমরিচের উপকারিতাগুলো সম্পর্কে-
১। গোলমরিচ মসলা ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পিপারিন নামের রাসায়নিক উপাদানের কারণে এটি ঝাল ঝাল হয়। এই মসলা আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম, ভিটামিন এ ও সি এবং অন্যান্য উপাদানে ভরপুর।
২। ত্বকের রোগ থাকলে তার চিকিৎসাতেও কাজে লাগে গোলমরিচ। গোলমরিচ গুঁড়া করে, স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বকে সহজে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে। এছাড়া পিগমেন্টেশন ও অ্যাকনে দূর করতেও সাহায্য করে গোলমরিচ।
৩। গোলমরিচের বাইরের আবরণ দেহের চর্বিজাতীয় কোষ ভাঙতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমানোর চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়। শরীর থেকে ফ্রি রেডিক্যালস বের করে দিতে সাহায্য করে। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে তা প্রতিরোধ করে। প্রচুর আন্টিঅক্সিডেন্ট আছে গোলমরিচে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। শুধু তা-ই নয়, মরিচের ঝাল কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৪। গোলমরিচের মধ্যে পিপারিন নামক উপাদান থাকে, সেই জন্যই এটি ঝাঁঝালো স্বাদের হয়। এটি হজমে দারুন ভাবে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। আর ঠিক ভাবে খাবার হজম হলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫। গোলমরিচকে দারুণ প্রদাহনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গোলমরিচ খেলে শরীরের সব দিকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। তার ফলে ব্যাথা কমে।