নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও সুন্দর। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে মধু। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান।
এছাড়া ব্রণ, বলিরেখা ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে, এবং চুলের কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এই প্রাকৃতিক উপাদান।
জেনে নিন কীভাবে মধু আমাদের উপকারে অত্যন্ত কার্যকর-
১। চুলের কন্ডিশনারঃ মধুতে থাকা এনজাইম অনুজ্জ্বল চুলকে উজ্জ্বল করে। পাশাপাশি নারকেল তেল চামড়ার বাহিরের স্তরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রূক্ষ্ম চুলে ভালমতো মালিশ করতে হবে। ২০ মিনিট রেখে তারপর ভালভাবে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন।
২। ব্রণের সমস্যা দূর করেঃ মধু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাংগাল উপাদানসমৃদ্ধ তাই এটি ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে থাকে। এর জন্য শুধু মধু রোজ ১০-১৫ মিনিট মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
৩। লোমকূপ পরিস্কার করেঃ মধুতে থাকা এনজাইম ত্বকের লোমকূপ পরিস্কার করে থাকে। এছাড়া মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ভারসাম্য রক্ষা করে কালচে ভাব দূর করে। এর জন্য এক টেবিল চামচ মধু, জোজোবা তেল এবং নারিকেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
৪। কাটা ও পোড়ার চিকিত্সায়ঃ কাটা ও পোড়ার জায়গায় মধু লাগালে ইনফেকশন হওয়া আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মধু লাগিয়ে ঐ স্থানটিতে কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। এটি দূষিত পরিবেশ থেকে জায়গাটিতে রক্ষা করতে, এছাড়াও যেকোনো দুর্গন্ধ হতে এটি রোধ করবে।
৫। ত্বক পরিষ্কারঃ মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা ত্বক করে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। অন্যদিকে, বেকিং সোডাও ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের মৃতকোষ তুলে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।