অনলাইন ডেস্ক : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনিকে ২ মাস ২০ দিন আগে ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ণ ইউনিটে। এখন কেমন আছে মুক্তামনি?
হাসপাতালে গিয়ে এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় মুক্তামনির। মুক্তামনি বলে, আগের থেকে ভালো আছি কিন্তু কতোটা ভালো আছি তা বলতে পারবো না। হাসপাতালে থাকতে কার ভালো লাগে। একটা রুমের মধ্যে আটকা আছি। একটু খেলতে পারি না, ভালো লাগে না এই ভাবে। আল্লাহর কাছে দোয়া কইরেন আমি যাতে ভালো হইয়া যাই।
মুক্তার বাবা জানান, মেয়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজ ২মাস ২০দিন ধরে হাসপাতালে পরে আছি। হাসপাতালে কি কেউ এমনি থাকতে চায়। খুব কষ্ট লাগে কিন্তু কিছুই করার নাই। আজ মঙ্গলবার মুক্তা মনির হাতে চামড়া লাগাবে। মুক্তার ড্রেসিং করানোর সময় দুই ব্যাগ করে রক্ত লাগে। মানুষের সহযোগিতায় রক্তের কোন অভাব হয় নাই। আমি কৃতজ্ঞ যে আমাকে সবাই অনেক সহযোগিতা করেছে এবং বর্তমানেও করছে।
কোন ধরনের অসুবিধায় রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানান, গত সপ্তাহে ড্রেসিং করানোর সময়, দুই ব্যাগ রক্ত দরকার ছিল। তখন গাবতলী থেকে রাত ১০টায় দুই জন মানুষ এসে রক্ত দিতে চায় কিন্তু ঢাকা মেডিকেল ব্লাড ব্যাংক আমাকে সহযোগিতা করে নাই। আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে।
আমি ৪ বার তাদের কাছে অনেক অনুরোধ করি কিন্তু তারা শুনে নাই আমার কথা। মেয়ের সুস্থতার জন্য আমি এইখানে পরে আছি। যত দুঃখ পাইনা কেন আমি থাকব। দিন শেষে মেয়েটার মুখে তাকালে সব কষ্ট চলে যায়।
দেশবাসীর কাছে আমার একমাত্র চাওয়া সবাই যেন আমার অসুস্থ মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে নামাজান্তে আমার এই ছোট্ট মেয়েটার জন্য দোয়া করে। আমি যেন আমার মেয়েটাকে আবারও সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ফিরে পাই। এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডা. সামন্ত লাল তাদের মেয়ের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসার পর এখানকার ডাক্তাররা খুবই আগ্রহ নিয়ে আমার মেয়েকে দেখছেন। ডা. সামন্ত লাল সেন আমারে খুবই আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন আমার বাচ্চা ভালো হয়ে যাবে।’