বার্সেলোনায় থাকাকালীন দারুণ এক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মেসি-নেইমারের মধ্যেও। কিন্তু এখন দু’জন দু’জনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী।
সেটাও পারফর্মমেন্স দিয়ে। আর এর মধ্য দিয়ে মেসি-রোনালদোর সঙ্গে বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে এবার জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন নেইমার। এরই অংশ হিসেবে ভিন্ন এক লড়াইয়ে এবার মেসিকে হারিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এমনিতেই নতুন ক্লাব পিএসজির হয়ে শুরু থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন নেইমার। এটা তারই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। নতুন মৌসুমে ইউরোপের সেরা ড্রিবলারের দৌড়ে শীর্ষে যে এই ব্রাজিলিয়ান।
একজন ফুটবলার কতটা ভালো, তার সবচেয়ে বড় মাপকাঠি ড্রিবলিং। ড্রিবলিংয়েই মিলে পায়ের মোহনীয় ছন্দের জাদু। তো নতুন মৌসুমে এখনো পর্যন্ত মাঠের সেই জাদুকরী ছন্দ প্রদর্শনে নেইমারই সেরা। চলতি মৌসুমে ৬ ম্যাচে ৭২টি ড্রিবলিং থেকে ৪৬টিতে ড্রিবলিংয়ে সফল হয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। আর নেইমারকে আটকাতে ৩০ বার ফাউল করেছেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা, তার সমান ফাউলের শিকার হয়েছেন কেবল বোর্দোর ম্যালকম। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে হারানোর রেট ৬৪ শতাংশ।
নেইমারের পরেই অবস্থান আর্জেন্টাইন আইকন বার্সার মেসির। ৬৮ ড্রিবলিং থেকে ৪২টিতে সফল হয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে হারানোর রেট ৬২ শতাংশ। ৫০টি থেকে ৩৫টি সফল ড্রিবলিং করে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন লিঁওর নাবিল ফেকির। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালা এবং আলেজান্দ্রো গোমেজ। দু’জনেরই সফল ড্রিবলিং সমান ২৬টি।