ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জোট অ্যালায়েন্স অব ইউরোপিয়ান কনজারভেটিভস অ্যান্ড রিফর্মিস্ট (এইসিআর)-এ যোগ দিয়েছে বিএনপি। জোটের পরবর্তী সাধারণ সভায় পূর্ণ মেম্বারশিপ গ্রহণ করবে দলটি। এই জোটের সদস্য হিসেবে ইতোমধ্যে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি ।
জানা গেছে, বিশ্বের দক্ষিণপন্থী, উদারগণতন্ত্রী ও প্রগতিমনা দলগুলো এই জোটের সদস্য। বিভিন্ন দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতো বিএনপিও যোগ দিলো এই জোটে। দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এই জোটের সদস্য হিসেবেই বিএনপির পক্ষে আমি ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছিলাম।
গত ২ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ব্রিটিশ দলটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বিএনপি নেতা রিপন বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ভাববিনিময় করেন। সম্প্রতি বৃটিশ কনজারভেটিভ পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে এই জোটের সদস্য হিসেবেই আমন্ত্রিত হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান রিপন।
উইকিপিডিয়া বলছে, ইউরোপের রক্ষণশীল ও সংস্কারপন্থিদের অ্যালায়েন্স (AECR) একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক জোট। যেটি অর্থনৈতিকভাবে উদার নীতি রক্ষা করে চলে। ২০০৯ সালের অক্টোবরে এই জোটের জন্ম। চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যঁ জাহরাদিল এই জোটের সভাপতি এবং সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন ইইউ পার্লামেন্টের সদস্য ডেনিয়েল হানান।
পৃথিবীর ২২টি দেশের রাজনৈতিক দল এই জোটের সদস্য। এর মধ্যে চারটি স্বাধীন সদস্য রয়েছে। যেটি ২০১০ সালে ইইউ পার্লামেন্টে স্বীকৃতি পায়। এরমধ্যে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ইউকে কনজারভেটিভ পার্টি অন্যতম। আঞ্চলিক শরীক রাষ্ট্রের দলগুলোর মধ্যে, ইসরায়েলের লিকুদ পার্টি, অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি ও যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি আছে। জোটের ভাষায় আঞ্চলিক সদস্যদেরকে ‘সহযোগী সদস্য’ বলা হয়।
এই জোটের মূলনীতি হিসেবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ইউরোপ এবং বিশ্বব্যাপী করমুক্ত বাণিজ্য বিস্তার করতে প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য। আসাদুজ্জামান রিপন জানান, ‘এই জোট রিফর্মের চিন্তা করে এবং জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছিল।’
তিনি জানান, ‘এই জোট দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রসারিত হবে। আমরা মূল সদস্য হওয়ার পাশাপাশি রিজিওনাল ফেইজেও থাকবো। আশা করছি, পরবর্তী সাধারণ সভায় বিএনপির হাতে সদস্যপদ তুলে দেওয়া হবে। তবে আগামীতে এই জোটের নামেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানান ড. রিপন।’
কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলন বিষয়ে রিপন জানান, চার দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক একাধিক থিং ট্যাংক অংশ নিয়েছে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিডসন এবং এইসিআর সেক্রেটারি জেনারেল ডেনিয়েল হানানের সঙ্গেও কথা বলেছেন আসাদুজ্জামান রিপন।
পূর্ববর্তী পোস্ট