দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের কাছে মাত্র আড়াই দিনে এ হার লজ্জারই বটে। তবে দলের এই ব্যর্থতার চেয়েও বড় আলোচনার বিষয় হচ্ছে, মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্ব নিয়ে। শোনা যাচ্ছে অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই কোনো রাখঢাক করেননি বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তা মেনে নিতে প্রস্তুত। আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর। তারাই আমাকে এই সম্মান দিয়েছে। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। এখন তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে আমি চেষ্টা করেছি সততার সঙ্গে আমার সেরাটা দিতে।’
অবশ্য নিজে থেকে সরে যেতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলেছেনও, ‘আমি কেন সরে যাব? অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। তবে এটা তো কোন ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দলের এই বেহাল দশার কারণেই মুশফিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। শোনা যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগেই নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে পারে বিসিবি।
অথচ টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মুশফিক। এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ সাতটি জয় পেয়েছে, নয় ম্যাচে ড্র করেছে এবং ১৮ ম্যাচে হেরেছে।
এই কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে গত বছর ইংল্যান্ডকেও হারিয়েছিল লাল-সবুজের দল। দুটি ম্যাচেই অধিনায়ক ছিলেন মুশফিক। অথচ অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।