ডেস্ক রিপোর্ট: শেষ পর্যন্ত প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলল ২৭৭। স্কোরটা আরও বড় হতেই পারত। তা হয়নি। প্রশ্ন হলো, এ মাঠে জেতার জন্য এই স্কোর কি যথেষ্ট?
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পরিসংখ্যান সাক্ষী মানলে এই রানের ওপর ভরসা করতেই পারে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ম্যাচগুলো এমনিতেই লো স্কোরিং ম্যাচ হয়। এ মাঠে যেমন পরে ব্যাট করে ২৩৯ রানের বেশি তোলার রেকর্ডই নেই। পরে ব্যাট করে জেতার রেকর্ডটা আরও কম। এ মাঠে ২০০–র বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ডই আছে মাত্র দুটি। সুতরাং বাংলাদেশের সিরিজ জয় থামাতে হলে রেকর্ড ভাঙতে হবে ইংল্যান্ডকে
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দেওয়া ২২৬ রানের লক্ষ্য মাত্র ২ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ। এটিই এখন পর্যন্ত এ মাঠে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২২২ রানের লক্ষ্য ছুঁতেও বাংলাদেশের বেশ ঘাম ছুৃটে গিয়েছিল। ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ বল আর ১ উইকেট হাতে রেখে।
এ মাঠে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার স্কোরটি ১৯৬ রানের। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সেবার জিতেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটিও যে খুব স্বস্তিদায়ক জয় ছিল বলা যাবে না। ১৭৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়া রীতিমতো শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। মাইক হাসির ৬১ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত হাসি এনে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে।
ফলে ২৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের আশা করতেই পারে। সময় যত গড়াচ্ছে, উইকেটের চরিত্রও যেন বদলাচ্ছে। ব্যাট করার জন্য মনে হচ্ছে বেশি কঠিন। স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য পাচ্ছেন। আদিল রশিদ তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
ক্রিকেটে রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য—এই আপ্তবাক্য আজ অন্তত সত্যি হবে না, এটাই নিশ্চয়ই প্রত্যাশা বাংলাদেশের।
পূর্ববর্তী পোস্ট