উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা দক্ষিণ কোরিয়ার স্পর্শকাতর ও গোপন বহু সামরিক তথ্য চুরি করেছে।
তার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনকে হত্যার একটি পরিকল্পনা, এবং যুদ্ধ লেগে গেলে দক্ষিণ কোরিয়া ও অ্যামেরিকার রণকৌশল কি হবে সেসবও।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন এমপি জানিয়েছেন, তার দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিনি এই খবর পেয়েছেন। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এমন এক সময় এ ঘটনার কথা জানা গেল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলছে এবং উভয় দেশই একে অপরকে ধ্বংস করে দেবার হুমকি দিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, চুরির এই ঘটনা ঘটেছিল গত বছর সেপ্টেম্বরে।
সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কম্পিউটারগুলোতে এক সাইবার আক্রমণ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্স ইন্টিগ্রেটেড ডেটা সেন্টার নামে এই কেন্দ্রটির তথ্যভান্ডারে হ্যাকার ঢুকতে সক্ষম হয়।
এবং বলা হচ্ছে যে তথ্য চুরি হয়েছে তার পরিমাণ ২৩৫ গিগাবাইট – যার ৮০ শতাংশই এখনো চিহ্নিত করা যায় নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সে সময় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করে । কিন্তু ঘটনা ঠিক কি ঘটেছিল এবং হ্যাকাররা কি কি তথ্য নিয়ে গেছে তা প্রকাশ করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিনিধি এবং একজন কংগ্রেসম্যান রি চিওল-লি ব্যাপারটা ফাঁস করে দিয়েছেন।
তিনি বলছেন, যেসব তথ্য চুরি হয়েছে তার মধ্যে কোরিয়া উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ, এবং উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল। মি, রি-র এই বক্তব্যের জবাবে এখনো দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কিছু বলে নি।
তিনি বলেন তার ধারণা – বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা এবং বিশেষ বাহিনীর অপারেশন সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিভিন্ন তথ্যও চুরি হয়ে গেছে।
এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এটাও হতে পারে যে উত্তর কোরিয়া হয়তো প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে ইতিমধ্যেই নিজেদের পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও এনেছে।
একই সাথে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও হয়তো এই নিরাপত্তা ব্যূহ ভাঙা হয়েছে জানতে পেরে তাদের কৌশলেও পরিবর্তন এনেছে।
উত্তর কোরিয়া অবশ্য এই হ্যাকিং-এর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া সত্যকে অতিরঞ্জিত করছে।