প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘কুলফি শাক শরীরে রক্ত তৈরি করে, ফোলা রোগ উপশম করে। গাদোমনি শাক রক্ত আমাশয় দূর করে। বউটুনি শাকে রয়েছে আয়রণ। কলার থোড় হাই প্রেসার রোধে কাজ করে। গিমি শাক ক্রিমি রোগের প্রতিষেধক। বেলে শাক কোষ্টকাঠিন্য দূর করে। ডুমুর ডায়বেটিসের প্রতিষেধক। মালঞ্চশাক ক্ষত সারতে কাজ করে। কচুর পাতা চোখের জন্য ভাল আর পিপুল সর্দি-কাশি দূর করে।’
এছাড়াও রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্রাহ্মি, কলমি, দস্তা কচু, হেলাঞ্চ, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, শাপলা, ঘ্যাটকল, কাটানটিসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক লতা-পাতা।
সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের সুপ্রাচীন সিলভার জুবলি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আন্তর্জাতিক খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসরে এসব শাক লতা-পাতার ওষুধি ও খাদ্যগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিল শিক্ষার্থীরা।
বারসিক ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক এই গল্পের আসরের আয়োজন করে।
এতে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত এসব শাক লতা-পাতার গুণাগুণ তুলে ধরে পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।
এ সময় তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অচাষকৃত এসব শাক লতা-পাতার গুরুত্ব তুলে ধরে বাড়ির পতিত জমিতে সংরক্ষণ ও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করে রোগ মুক্তি বা পুষ্টির চাহিদা পূরণের আহবান জানান।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিলভার জুবলি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী।
আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তফুরা খাতুন, সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন, সহকারী শিক্ষক আফরোজা ফাতেমা, সহকারী শিক্ষক সুমিত্রা রানী, সহকারী শিক্ষক সুপর্ণা রানী, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান, প্রচার সম্পাদক নূরুল হুদা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের যুব সংগঠক ফজলুল হক, কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর মাহিদা মিজান প্রমুখ।