নিজস্ব প্রতিবেদক : নব্যদের নন ক্যাডারভূক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কর্মকর্তারা এক মত বিনিময় সভায় বলেন ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজকে সরকারিকরণের সরকারি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তারা আরও বলেন নতুন জাতীয়কৃত ও জাতীয়করণের তালিকাভূক্ত ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন। এ ব্যাপারে তারা আগামী ১৭ নভেম্বর দেশব্যাপী আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
রোববার সাতক্ষীরায় আয়োজিত মত বিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কলারোয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব কুমার বিশ্বাস। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর সুদেব কুমার বিশ্বাস, সাতক্ষীরা মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল খালেক, উপাধ্যক্ষ ড. ইয়াহিয়া মজুমদার, প্রফেসর আমানুল্লাহ আল হাদি, প্রফেসর আবুল হাসেম, শিক্ষা সমিতির সাধারন সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান ও কাজী আসাদুল হক। এ সময় সাতক্ষীরার সরকারি কলেজসমূহের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় তারা বলেন, এরই মধ্যে সরকার দেশের ২৮৩ টি কলেজকে জাতীয়করনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। খুব সত্ত্বরই এ ব্যাপারে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, বিসিএস পরীক্ষা ছাড়াই তারা কিভাবে প্রথম শ্রেণির ক্যাডারভূক্ত হবেন। এতে জ্যেষ্ঠতা লংঘিত হবে এবং বৈষম্য দেখা দেবে জানিয়ে তারা বলেন বিসিএস না করা এসব শিক্ষককে ক্যাডার পদ দিয়ে আত্মীকরণ করা হলে আগামীতে শিক্ষায় মেধাবীদের পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন, ৩৪তম বিসিএস করা ২৭০ জন শিক্ষককে সেকেন্ড ক্লাস পদমর্যাদা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে নতুনদের নো-ক্যাডারভূক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি করেন তারা। বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত না হয়েও ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের যেকোনো উদ্যোগকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, নন ক্যাডার ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত নির্দেশনা অন্তর্ভূক্ত করে বিধিমালা জারি না করা হলে আগামী ১৭ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে জাতীয় শিক্ষানীতি গৃহীত হলেও বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ বিধিমালা প্রণীত হয়নি বলে উল্লেখ করেন তারা। তা সত্ত্বেও অব্যাহতভাবে কলেজ জাতীয়করণ চলছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বক্তারা এ প্রসঙ্গে চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের নন ক্যাডারভূক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী বিধিমালা জারি করতে হবে। জাতীয়করণের আগেই বিধিমালা প্রণয়ন করতেহবে। বিসিএস পরিক্ষার মাধ্যমে ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তিকে ক্যাডারভূক্ত করা যাবে না। সম্প্রতি জাতীয়করণকৃত ১২ টি মডেল কলেজের শিক্ষকদেরও একই বিধিমালায় আনতে হবে।
‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ দাবিতে সাতক্ষীরায় বিসিএস শিক্ষা সমিতির মতবিনিময়
পূর্ববর্তী পোস্ট