শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট বরার্ট মুগাবের নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দাতা গোষ্ঠী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রবল সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার এই ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বুধবার উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি সভায় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট বরার্ট মুগাবেকে নিয়োগের ঘোষণা দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক প্রধান টেডরোস আধানোম গেবরেয়েসোস। আফ্রিকায় দুরারোগ্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে মুগাবেকে নিয়োগ দেয় সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গেবরেয়েসোস একটি টুইট বার্তায় বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট বরার্ট মুগাবেকে আফ্রিকায় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগের ব্যাপারে অনেক সমালোচনা হচ্ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিয়োগটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নিয়োগের বিরোধিতা করে সমালোচকরা অভিযোগ করেন, মুগাবের ৩০ বছরের শাসনামলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে, বেতন সংকটে পড়েছেন কর্মীরা।
যুক্তরাজ্যের সরকার মুগাবের এই নিয়োগকে ‘বিস্ময়কর ও হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছে। আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টিকে এপ্রিল ফুলের কৌতুকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানবাধিকার ও মানুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখায় জাতিসংঘের যে নীতিগুলো রয়েছে, মুগাবের নিয়োগে তার প্রতি বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে।