সেনাবাহিনীর নির্যাতন-হত্যা-ধর্ষণের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরজমিনে দেখার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী সপ্তাহে কক্সবাজার যাবেন।
সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। সেখানেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। গত সাত সপ্তাহে এ নিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি’ উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। সভা শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পর এই প্রথম শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন খালেদা জিয়া। তিন মাসেরও বেশি সময় পর গত ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন বিএনপির প্রধান।
স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ এসব নিয়ে আলোচনা হবে। সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনগুলোর কৌশল ও দলের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান।
সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।