দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মশিউর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার সকালে যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই দণ্ডাদেশ দেন।
আদালত মশিউরের ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ ১০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো নয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এ রায়কে অবৈধ দাবি করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলাব্যাপী আধাবেলা হরতাল ডেকেছে।
মশিউর রহমান ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি। এর আগে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানান, বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের পর যশোর আদালতে ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
মশিউর আরো জানান, রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু আসামিপক্ষের নানা অপতৎপরতার কারণে মামলার বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদুর রহমান জানান, তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। মামলার রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পাঁচ কোটি সাত লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করাসহ পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক হুইপ মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা অফিসের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক নাসির উদ্দিন।
অভিযোগ গঠনের পর বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মামলাটি পাঠানো হয় যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।