বর্তমানে দেশে একতরফা ও একদলীয় শাসন চলছে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের সব নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, এখন সংসদের কোনো কার্যকর বিরোধী দলও নেই।
মামলার বিষয়ে আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আলোচ্য মামলাটি দায়ের ও এর সকল কার্যক্রম ও পরিণতি ফোজদারি আইনকানুন ও বিচারের মধ্যেই সীমিত নয়। সবকিছু ব্যাখা না করলে মামলাটির সব খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরা সম্ভব নয়। আমার বক্তব্য শুনবেন এবং সময় দেবেন, যাতে আমি পুরো পটভূমি তুলে ধরতে পারি।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের বিষয়ে আগামী সোমবার আদেশ দেবে আপিল বিভাগ।
এর আগে, আত্মপক্ষ সমর্থনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রসা মাঠে ঢাকার ৫ম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলারও বিচারকার্য চলছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
অন্যদিকে, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।