লক্ষ্য ২২৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই বিশাল সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে খুব এক সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লাল-সবুজের দল। এর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী দলটি। তাই শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শেষ করে তারা।
পচেফস্ট্রুমে আজ রোববার অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২২৪ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৪১ রানে।
এই হারে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করল বাংলাদেশ। সিরিজের সাত মাচের সবকটিতেই হেরেছে তারা। টেস্টে ২-০, ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে হারের এবার টি-টোয়েন্টিতেও ২-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
এদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২১ রানের মাথায় ওপেনার ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়ে বসে। তখন তিনি ঝুলিতে নিয়েছেন মাত্র ৬ রান। এরপর সাকিব (২), মুশফিকুর রহিম (২) ও সাব্বির রহমানও (৫), মাহমুদউল্লাহ (২৪), লিটন দাস (৯) ও মেহিদী হাসান মিরাজ (১৩) সাজ ঘরে ফিরেন। আর ওপেনার সৌম্য সরকার ৪৪ রান করে আউট হন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ শুরুতেই স্বাগতিক দুই ব্যাটসম্যান মাঙ্গালিসো মোসেলে ও অধিনায়ক জেপি ডুমিনিকে সাজ ঘরে ফেরত পাঠান। এই জোড়া আঘাত হানেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের ২.৩ ওভারে সাকিব সরাসরি বোল্ড করেন প্রোটিয়া ওপেনার মাঙ্গালিসো মোসেলেকে। তখন তিনি করেন মাত্র ৫ রান। দলীয় রান ছিল ২৩। এরপর অধিনায়ক জেপি ডুমিনিকেও আউট করেন সাকিব। তিনিও নিজের ইনিংসটাকে খুব একটা বড় করতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন।
তারপরও প্রোটিয়াদের রানের চাকা সচল ছিল। দশম ওভারের পঞ্চম বলে ডি ভিলিয়ার্সকে (২০) তরুণ সাইফুদ্দিন প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেও এক পাশ আগলে রাখেন আমলা। তিনি ৫১ বলে ৮৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে দলকে এই সংগ্রহ গড়ে দিতে অন্যতম অবদান রাখেন। ১১টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল তাঁর এই ইনিংসে।
এদিন ডেভিড মিলার ছিলেন আরো বেশি উজ্জ্বল। তিনি ৩৬ বলে ১০১ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। বিশেষ করে ইনিংসের ১৯তম ওভারে সাইফুদ্দিনের প্রথম পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে তিনি রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন বাংলাদেশের বোলিংয়ের ওপর।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ও সাইফুদ্দিন দুটি করে উইকেট নেন।