তরিকুল ইসলাম লাভলু : সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার শুইলপুর ও নলতা গ্রামে বসবাসকারী এক ভাইয়ের মরদেহ দেখে আরেক ভাইয়ের মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আপন দু’ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের শুইলপুর গ্রামে বাস্ত ভিটায় বসবাস করেন মৃত আলহাজ্জ সাধু গাজীর পুত্র আলহাজ্জ মো: ফজর আলী গাজী (৭২) এবং নলতা গ্রামে বসবাস করেন ফজর আলী গাজীর আপন ভ্রাতা প্রাক্তন ইউপি সদস্য গাজী কোরবান আলী (৭০)। গত ৩০ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ফজর আলী গাজীর হঠাৎ স্ট্রোক করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে তার মৃত্যু হলে সাতক্ষীরা থেকে ফজর আলী গাজীর মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরার পথে নলতা চৌমুহনী এলাকায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অপেক্ষমান মেম্বর গাজী কোরবান আলী তার ভাইয়ের মরদেহ দেখে নলতা বাসভবনে ফিরে স্ত্রীকে চিনির পানি গুলে দিতে বলে অসুস্থ্যবোধ চেয়ারে বসে পড়েন। তার অসুস্থ্যতার ভাব দেখে পরিবারে সদস্যরা পার্শ্ববর্তী ডাক্তার আজগার আলীকে ডাকতে গেলে তিনি আসার আগেই চেয়ারে বসা অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজী কোরবান আলীর (৭০) মৃত্যু হয়। অর্থাৎ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আপন দু’ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুকালে আলহাজ্জ ফজর আলী গাজী ১ম স্ত্রীর মৃত্যুজনিত কারণে ২য় স্ত্রী, মিল্টন নামক এক পুত্র, দুই কন্যা এবং গাজী কোরবান আলীর ১ম স্ত্রীর মৃত্যুজনিত কারণে ২য় স্ত্রী, সাহেব ও টপু নামক দুই পুত্র, তিন কন্যা সহ উভয়ে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বাদ যোহর আলহাজ্জ ফজর আলী গাজীকে শুইলপুর নামাজে জানাযা এবং গাজী কোরবান আলীকে বাদ যোহর নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদে ১ম নামাজে জানাযা ও পরবর্তীতে শুইলপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে দু’সহোদরকে যোহরের পরেই শুইলপুর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট