বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সোমবার ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এক ঘোষণায় একথা জানান। এই তালিকায় ঠাঁই পায় বিশ্বের আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ তালিকায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকার মাধ্যমে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার একটি আন্তর্জাতিক তালিকাই মূলত মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ঘটনার সংরক্ষণ ও সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে ইউনেস্কো। এই তালিকায় ঠাঁই পেতে হলে পর্যাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা ও ঐতিহাসিকভাবে প্রভাব থাকতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি বলেছেন, ‘এখন সারাবিশ্ব আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে পারবে। এই ভাষণ বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতার জন্য অনুপ্রেরণা। এই ভাষণেই জেগে উঠেছিলো পুরো জাতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভাষণে স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়ে যায় বাঙালিরা। মু্ক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যায়।’
আন্তর্জাতিক এডভাইসরি কমিটি এই তালিকার প্রস্তাব দিয়ে থাকে। তারাই যাচাই বাছাই করে থাকে পুরো প্রক্রিয়া। চলতি বছর ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর এ নিয়ে বৈঠকে বসে কমিটি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ৭ মার্চের ভাষণকে অন্তর্ভুক্ত করার। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বের মোট ৪২৭টি নথি মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে যুক্ত হয়েছে।