২৫ জন পরিচালকের ২৩ জনই আগের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার বিকেল নাগাদ সভাপতি হিসেবেও আগের নাজমুল হাসান পাপনের নামই ঘোষিত হবে।
২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে নাজমুল হাসানের নেতৃত্বাধীন কমিটি। ৩১ অক্টোবর যে নির্বাচন হল, সেখানে বিজয়ীদের প্রায় সবাই বোর্ড সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসানকেই চাইছেন। সভাপতি হিসেবে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের নাম টুকটাক উচ্চারিত হলেও নির্বাচনের দিন তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, ওই পদে বসার কোনো ইচ্ছা তার নেই।
এদিন নাজমুল হাসানের কথাও তার ফিরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া গেল, ‘এখন যেহেতু আমাদের পরিচালক নির্বাচন হয়ে গেছে, কালকে আমরা সভাপতি নির্বাচনে বসব। এখন পর্যন্ত আগের অবস্থানই আছে। প্রত্যেক পরিচালক আমার কাছে একটাই দাবি জানিয়েছে, আমাকে সভাপতি হিসেবে চায়। এখন পর্যন্ত সেভাবেই আছে।’
এই কথা বলার পর সভাপতি হিসেবে একপ্রকার নিজেকে ঘোষণাই করে দেন তিনি, ‘যদি সভাপতি প্রার্থী না থাকে তাহলে নির্বাচন হবে না। যেহেতু কোনও প্রার্থী নেই সেহেতু আমিই আবার হচ্ছি।’
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাজমুল হাসান পাপনসহ ২২ জন পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের নির্বাচনের অপেক্ষা ছিল মঙ্গলবার। ঢাকার দুটি পদে নির্বাচিত হন নাইমুর রহমান দুর্জয় ও সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম। বোর্ড পরিচালক হিসেবে নতুন মেয়াদে দুই নতুনের একজন কিশোরগঞ্জ জেলার কাউন্সিলর আশফাকুল।
অপেক্ষা ছিল বরিশাল বিভাগ নিয়ে। সেখানে নাজমুল হাসান পাপনের প্যানেলের প্রার্থী এম এ আওয়াল ভুলুকে হারিয়ে দিয়েছেন আলমগীর খান আলো। তিনিও নতুন বোর্ড পরিচালকদের একজন।
আলোর কাছে ভুলুর হার প্রসঙ্গে নাজমুল বলেন, ‘আমি ভোটারদের নির্দিষ্ট কাউকে ভোট দিতে বলিনি। গতবার আমাদের সঙ্গে ভুলু ছিল, সে আসতে পারেনি। আমরা তাকে অনেক মিস করবো। সে আসলে ভালো হতো। নতুন যিনি এসেছেন, তিনি অনেক অভিজ্ঞ। তার এতো বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে দেবে।’