এম বেলাল হোসাইন : “বিপ্লবের এই দিনে, জিয়া তোমায় পড়ে মনে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকালে শহরের আমতলা মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আমতলামোড়স্থ নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি রহমততুল্লাহ পলাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম বাবু, হাবিবুর রহমান হবি, আবুল হাসান হাদী, অধ্যাপক শের আলী, অধ্যাপক নরুমোহাম্মদ পাড়, আইনুল ইসলাম নান্টা, মাসুম বিল্লাহ শাহিন, এড. এবিএম সেলিম প্রমুখ
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, “১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ছিল আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দিন। তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ ব্যুহ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করার এক হীন চক্রান্ত। সাধারণ সৈনিকরা বিপ্লবের প্রথম ধাপেই জেল থেকে মুক্ত করে আনেন তাদের প্রিয় অধিনায়ক সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে। তিনি সেনা বিদ্রোহকে প্রশমিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সৈনিকরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তিন দিনের গুমোট পরিবেশ মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়ে যায়।
সেনাবাহিনীর ট্যাংকের নলে মালা পরিয়ে দেয় উৎফুল্ল জনতা। ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় উঠে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস। রাজধানী ঢাকার রাজপথে জনতার গগন বিদারি শ্লোগানের সঙ্গে ট্যাঙ্কের গর্জন মিলে সৃষ্টি করে এক অভূতপূর্ব আবহ। সে আবহ আবারও পুনরায় জানান দেয়, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব নয়।”
আলোচনা সভা শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেখানে একটি কেক কাটেন।