রাশিয়াতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচ খেলেই লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে রেখে ফিরে যান স্পেনে। আর তাকে ছাড়া পথ চলতে গিয়ে প্রথমেই বিরাট হোঁচট খেলো অ্যালবিসেলেস্তেরা। মঙ্গলবার ক্রাসনোদার স্টেডিয়ামে এগিয়ে গিয়েও তারা ৪-২ গোলে হেরে গেছে নাইজেরিয়ার কাছে। দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে আফ্রিকানদের এটা দ্বিতীয় জয়।
৩৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক এই প্রীতি ম্যাচে সহজ জয়ই প্রত্যাশিত ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নাইজেরিয়া। ২০১১ সালের জুনে আরেক প্রীতি ম্যাচে ৪-১ গোলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা। ওই ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এদিন মেসি না থাকলেও দল ছিল পূর্ণ শক্তির।
মেসি না থাকায় তার জায়গায় পাউলো দিবালাকে ডেকেছিলেন হোর্হে সাম্পাওলি। আর্জেন্টাইন এই কোচের অধীনে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ একাদশে জায়গা পান সের্হিয়ো আগুয়েরো। রাশিয়ার বিপক্ষে দলকে জেতানোর পুরস্কারই যেন পেলেন তিনি।
আস্থার প্রতিদান আগুয়েরো এ ম্যাচেও দিয়েছেন গোল করে। তার আগে ২৭ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আর্জেন্টিনাকে প্রথমে এগিয়ে দেন এভার বানেগা। ব্যবধান ৩৬ মিনিটে দ্বিগুণ করেন আগুয়েরো। ডানদিক থেকে পাভনের পাস নিখুঁতভাবে নাইজেরিয়ার জালে পাঠান ম্যানসিটির সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা। জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৬তম গোল করে সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় তিনি এককভাবে তিন নম্বরে জায়গা করে নেন। সাবেক ফরোয়ার্ড হার্নার ক্রেসপো (৩৫) পড়ে গেছেন আগুয়েরোর পেছনে।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে যখন আর্জেন্টিনা স্বস্তিতে, ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়ায় নাইজেরিয়া। শুরুটা হয় বিরতির আগেই। ৪৪ মিনিটে কেলেচি আইহিনাচোর বাঁকানো ফ্রি কিক ঠেকাতে পারেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অগাস্তিন মারচেসিন।
আইহিনাচো পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন দ্বিতীয়ার্ধে। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল বানিয়ে দেন লিস্টার সিটির এই ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ৫২ মিনিটের গোলে সমতা ফেরান আইওবি। আইদোয়ু ৫৪ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়াকে। ভেঙে পড়া আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের সুযোগ নিয়ে ৭৩ মিনিটে চতুর্থবার গোল করে নাইজেরিয়া। আইওবিকে তার দ্বিতীয় গোল বানিয়ে দেন মুসা।