নাচ এবং অভিনয় বরাবরই ধ্যান-জ্ঞান ছিল তার। তাইতো নাট্যকলায় অনার্স কমপ্লিট করে অভিনয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করছেন এই লাস্যময়ী।
স্বপ্ন দেখছেন অভিনয়ের প্লাটফর্মে নিজের ডানা মেলতে। বলছিলাম ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ তাহমিনা অথৈ’র কথা।
কম্বোডিয়াতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি ২০১৭। গত ২৮ বছর ধরে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সুন্দরী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মূলত, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত ১০০ মিস ইউনিভার্সিটি ১৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত লড়াইয়ে অংশ নিবেন। আর বাংলাদেশ থেকে এবার অংশ নিবেন অথৈ। জাতিসংঘ তাদের পিস কিপিং প্রজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
শুক্রবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অথৈ নির্বাচিত হন ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’।
বেশ কয়েকটি ধাপে নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। কয়েক হাজার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সুন্দরীর আবেদন জমা পড়েছিল এই বাছাই প্রক্রিয়ায়। সবাইকে ছাপিয়ে ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটির মুকুটটি পড়েন অথৈ। এবারের প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল অপূর্ব ডটকম। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার অপূর্ব বলেন, ‘এবার তৃতীয়বারের মত আয়োজনটি করলাম। আর প্রথম করেছিলাম ২০১১ সালে। ‘
এই অর্জন তার ক্যারিয়ারকে ত্বরানিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন অথৈ।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের একটি প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। এখন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে, বিষয়টি সত্যিই আনন্দের এবং গৌরবের। ‘
এর আগে এই ধরনের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অথৈ বলেন, ‘না এই রকম কোন রিয়্যালিটি শোতে অংশ নেইনি। তবে ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি পুরোপুরি ভিন্ন একটি প্লাটফর্ম। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের পড়ুয়া সুন্দরীরা অংশ নিতে পারে। এটাই এই আয়োজনের একটু ভিন্নতা স্বকীয়তা। ‘
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অথৈ বলেন, ‘মিডিয়া নিয়েই আমার সব পরিকল্পনা কেন্দ্রীভূত। মাস্টার্স শেষ হলে হয়তো পুরোপুরি কোমর বেঁধে নামবো এই জগতে। বর্তমানে একটি বেসরকারি চ্যানেলের প্রোগ্রাম উপস্থাপনায় রয়েছি। পাশাপাশি একটি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছি। ‘
এই চলার পথে সবচাইতে বেশি ভূমিকা রেখেছে তার মা, এমনটাই জানালেন অথৈ। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মায়ের উৎসাহে নাচ শিখেছি, এমনকি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে যখনই পারফর্ম হতো তখনই মা গিয়ে উপস্থিত হতেন দর্শক সারিতে। ‘
ছোট পর্দা না বড় পর্দা কোনটাকে প্রাধান্য… এবার অথৈ বলেন, ‘সৃষ্টিশীল কাজ যে কোনো প্লাটফর্মেই আনন্দের। চেষ্টা করবো যেখানেই কাজ করি দক্ষতা ও দায়িত্ব নিয়েই করবো। তবে ছোট পর্দা আমার প্রথম পছন্দ। বাকিটা হয়েতো সময় হলেই বোঝা যাবে। ‘
আগামী ২৫ নভেম্বর কোরিয়াতে ১০০ দেশের এই বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরীদের নিয়ে শুরু হবে গ্রুমিং।
আর কম্বোডিয়াতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত কার্যক্রম। ভিসা কার্যক্রম শেষ হলে দুই এক দিনের মধ্যে কোরিয়া পাড়ি জমাবেন অথৈ।