নিজস্ব প্রতিনিধি : আমার কাটিয়া মৌজাস্থ ৫৮ শতাংশ জমিতে তৈরি আমার বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ভাড়া দেওয়া হতো। গত ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর আমার বাড়িতে স্কুল করার জন্য দশ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর শংকরপুর গ্রামের আবদুল খালেক তরফদার। কিন্তু সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র পরিচালক আবদুল খালেকের ছেলে আলাউদ্দিন ফারুকী প্রিন্স চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে স্কুল চালাচ্ছেন। পরিচালক আমার কিংবা অন্য কারও সম্মতি না নিয়েই বাড়ির ছাদের ওপর ড্রিল মেশিন দিয়ে ছাদ ফুটো করে উঁচু টাওয়ার স্থাপন করেন।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার এমএ হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টাওয়ার বসানোর ব্যাপারে তার বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নুরুজ্জামান এর প্রতিবাদ করেন। পরে ১৮ অক্টোবর জজকোর্টের এড. শেখ জিল্লুর রহমান ভাড়া শর্তের চুক্তিভঙ্গ করে এই টাওয়ার নির্মাণের কারণ জানতে নোটিশ করেন। তিনি ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেন। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না দিয়ে তারা টাওয়ারটি খুলে ফেলেন। টাওয়ারটি বসাতে ছাদ ফুটো করায় বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এমএ হাকিম। তিনি আরও বলেন কেয়ারটেকারকে তারা হুমকি দেন। এ নিয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন কেয়ারটেকার মো. নুরজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভবনের ছাদ ফুটো করায় আমার ভবনটি হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান স্বার্থহানী, রাষ্ট্রবিরোধী ও অসামাজিক জাতীয় কোনো কাজে জড়িত থাকলে শর্ত অনুযায়ী ভবন অবমুক্ত করার কথা। কিন্তু ছাদ ছিদ্র করে শর্ত ভ্গং করায় আমার স্বার্থহানী হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন আমি আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে আমার বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু নোটিশের জবাব না দিয়ে তারা আমাকে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এমএ হাকিম।
তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট